সারা দেশে জাতীয় চা দিবস পালিত হবে আজ। ‘স্মার্ট বাংলাদেশের সংকল্প, রপ্তানিমুখী চা শিল্প’– প্রতিপাদ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ চা বোর্ডের উদ্যোগে চতুর্থবারের মতো জাতীয় চা দিবস এবং দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় চা পুরস্কার প্রদান করা হবে। জাতীয় চা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় চা দিবসের মূল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি থাকবেন। উল্লেখ্য, চা শিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন চা কোম্পানি/ব্যক্তিকে জাতীয় চা পুরস্কার দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন।
উল্লেখ্য, ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চা শিল্পে জাতির পিতার অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তার যোগ দেওয়ার তারিখকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০২০ সালের ২০ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৪ জুনকে জাতীয় চা দিবস ঘোষণা করা হয়।
চা শিল্পের উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগের ধারাবাহিকতা ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চা শিল্প টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের ১৩টি দেশে প্রায় ১ দশমিক শূন্য ৪ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি করা হয়েছে, যা গত বছরের প্রায় ৩৩ শতাংশ বেশি। আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা অনুযায়ী চা তৈরিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। দেশে বর্তমানে ১৬৮টি বৃহৎ চা বাগান এবং প্রায় ৮ হাজার ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান রয়েছে। একসময় চা ছিল দেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য। গত দুই দশকে মানুষের আয় ও ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বহুলাংশে বেড়েছে।