এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক

| শনিবার , ১৬ অক্টোবর, ২০২১ at ৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ

অপুষ্টির হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে ধারাবাহিক উন্নতি অব্যাহত থাকায় ক্ষুধামুক্তির লড়াইয়ে একধাপ অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশের। ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট গতকাল শুক্রবার চলতি বছরের যে ‘বিশ্ব ক্ষুধা সূচক’ প্রকাশ করেছে, তাতে বাংলাদেশের স্কোর গতবারের ২০.৪ থেকে কমে ১৯.১ পয়েন্ট হয়েছে। এর ফলে ক্ষুধার মাত্রা বিবেচনায় বাংলাদেশ ‘মারাত্মক’ থেকে ‘সহনীয়’ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
অপুষ্টির হার, ৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে উচ্চতার তুলনায় কম ওজনের শিশুর হার, ৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে কম উচ্চতার শিশুর হার, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার- এই চারটি মাপকাঠিতে প্রতিটি দেশের পরিস্থিতি বিচার করে তৈরি হয় গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেঙ (জিএইচআই) বা বিশ্ব ক্ষুধা সূচক। এই সূচকে সবচেয়ে ভালো স্কোর হল শূন্য। আর সবচেয়ে খারাপ স্কোর হল ১০০ পয়েন্ট। স্কোর বাড়লে ক্ষুধা পরিস্থিতির অবনতি, আর কমলে পরিস্থিতির উন্নতি।
স্কোরের মধ্যে দেশগুলোর অবস্থানকে মোটা দাগে পাঁচটি ধাপে ভাগ করে খাদ্য ও পুষ্টি পরিস্থিতি বোঝানো হয়- স্কোর ৫০ এর বেশি হলে ‘অতি বিপদজনক’, স্কোর ৩৫ থেকে ৪৯.৯ এর মধ্যে থাকলে ‘বিপদজনক’, স্কোর ২০ থেকে ৩৪.৯ এর মধ্যে থাকলে ‘তীব্র’, স্কোর ১০ থেকে ১৯.৯ এর মধ্যে থাকলে ‘সহনীয়’ (বাংলাদেশের অবস্থান) এবং স্কোর ৯.৯৯ এর নিচে হলে পরিস্থিতি ‘নিম্ন’।
ক্ষুধা সূচকে অবস্থানগত দিকে থেকেও উন্নতি হয়েছে। গতবছর ১০৭টি দেশের মধ্যে ৭৫তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। এবার ১১৬টি দেশের মধ্যে ৭৬তম হয়েছে। অপুষ্টির হার, ৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে উচ্চতার তুলনায় কম ওজনের শিশুর হার, ৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে কম উচ্চতার শিশুর হার, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার- এই চারটি মাপকাঠিতে প্রতিটি দেশের পরিস্থিতি বিচার করে তৈরি হয় জিএইচআই।
ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট বলছে, ২০১২ সালের পর থেকে ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে; তীব্র পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচিত স্কোর ২৮.৬ থেকে সহনীয় বিবেচিত ১৯.১ স্কোরে নেমেছে। সাম্প্রতিক দশকগুলোতে শিশু অপুষ্টির হারও ব্যাপকভাবে কমেছে; ২০০০ সালের ৫১ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ২০১৯ সালে ২৮ শতাংশে নেমেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জনে বাংলাদেশের পথপরিক্রমার অংশ হিসেবে অপুষ্টি মোকাবেলায় সরকারের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি, সংকল্প ও পদক্ষেপের কারণেই এসব উন্নতি সম্ভব হয়েছে। গতবারের মতোই এবারও সূচকে স্কোরের দিক থেকে প্রতিবেশী দেশ ভারত (২৭.৫) ও পাকিস্তানের (২৪.৭) বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। সূচকে গত কয়েক বছর ধরে পিছিয়ে থাকলেও এবার নেপালের স্কোর সমান। তবে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশে চেয়ে এগিয়ে আছে এখনও (১৬)। গতবারের মত এবারও ক্ষুধার সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা। আট দেশের মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান (২৮.৩)।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবন্দরে এই প্রথম ১শ টনের ক্রেন
পরবর্তী নিবন্ধদুই সন্তানকে হত্যা করে মায়ের আত্মহত্যা