কক্সবাজারে খুলনার কাউন্সিলর ও খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ–সভাপতি গোলাম রাব্বানী টিপু হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এক তরুণীসহ তিনজনকে মৌলভীবাজার থেকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ কক্সবাজার। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শাহরিয়ার পাপ্পু (২৯), গোলাম রসুল (২৫) ও ঋতু (২৩)। তাদের তিনজনের বাড়ি খুলনা জেলায়। গ্রেপ্তারের পর তাদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এক ক্ষুদে বার্তায় এই তথ্য নিশ্চিত করেন কঙবাজারের পুলিশ সুপার মো. রহমত উল্লাহ। তিনি বিস্তারিত আজ (বুধবার) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াছ খান জানান, তিনজনকে বিকেলে সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার জিরি উপজেলার কাপনা পাহাড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ঋতু কাউন্সিলর টিপুর সাথে হোটেলে উঠা সেই তরুণী বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি জানান, তারা তিনজনই সরাসরি টিপু হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পর তিনজন সরাসরি সিলেটে হয়ে মৌলভীবাজারের নির্জন এলাকায় পালিয়ে যান। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশের একটি দল সিলেট গিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। তাদেরকে নিয়ে পুলিশের দলটি কঙবাজারে ফেরার পথে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জানুয়ারি রাত সোয়া ৮টার দিকে কঙবাজার শহরের সৈকত এলাকাস্থ হোটেল সী–গালের সামনে ফুটপাতে হাঁটা অবস্থায় গোলাম রাব্বানী টিপুকে মাথায় গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পথচারীদের সহযোগিতায় আবদুস সালাম নামের এক ইজিবাইক চালক টিপুকে কঙবাজার সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর ওইদিন রাতেই খুলনার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিল ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান ইফতেখার ওরফে চালু ও কঙবাজার শহরের টেকপাড়ার বাসিন্দা মেজবাউল হক ভুট্টোকে সন্দেহজনকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়। দু’দিন পর তাদেরকে এই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। তবে এখনো রিমান্ড শুনানি হয়নি। অন্যদিকে ঘটনার পরদিনই নিহত টিপুর ভগ্নিপতি ইউনুছ আলী শেখ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কঙবাজার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।