ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচাইতে বেশি ৪৩৪ তাড়া করে জিতেছিল দক্ষিন আফ্রিকা। তাও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ২০০৬ সালের মার্চের সেই ঘটনাই যেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে আবার ফিরে এলো ১৭ বছর পরের মার্চে। প্রতিপক্ষ এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেঞ্চুরিয়নে গত রোববার জনসন চার্লসের ৪৬ বলে ১১৮ রানের ইনিংসে ২০ ওভারে ক্যারিবিয়ানরা গড়ল ২৫৮ রানের পাহাড়। ড্রেসিংরুমে ফেরার পর প্রোটিয়াস পেসার রাবাদা বললেন ১০ রান কম করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর বাকিটা ইতিহাস। কুইন্টন ডি কক আর রিজা হেনড্রিকসের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৬ ওভারে রান উঠল ১০২। টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে প্রথমবার পাওয়ার প্লেতে শতরান কোনো দলের। ১০ ওভারে রান পেরিয়ে গেল দেড়শ। ডি কক ৪৪ বলে ১০০ রান করে আউট হয়ে গেলেন। হেনড্রিকস করলেন ২৮ বলে ৬৮। অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফিরলেন ২১ বলে ৩৮ রানের ইনিংসে। ৭ বল বাকি রেখেই দক্ষিণ আফ্রিকা জিতল রান তাড়ার বিশ্বরেকর্ড গড়ে। ৫১৭ রান আর ৩৫ ছক্কার এই ম্যাচ রেকর্ড বইয়ে ফেলে দিল তোলপাড়।
ম্যাচ শেষে রিজা হেনড্রিকস জানালেন ম্যাচের মাঝ বিরতিতে বলা রাবাদার সেই কথা। ম্যাচের সেরা কুইন্টন ডি কক পরে বললেন, উইকেট ছিল অনেকটা সড়কের মতো। নিজের ইনিংস আর দলের অর্জন নিয়ে গর্বের কমতি নেই তার। আমরা সত্যিই স্পেশাল কিছু একটা করেছি । আর যা করেছি, এতে আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত। উদ্বোধনী জুটিতে আমাদের চাওয়া ছিল দলকে কিছুটা আশা জোগানো এবং আমরা তা পেরেছি। আমরা জানতাম, সেঞ্চুরিয়নে সবসময়ই রান হয়। মাঠে বল ছুটে যায় দ্রুত। আমরা জানতাম, আমাদের সুযোগ আছে, বিশেষ করে উইকেট যখন এরকম সড়কের মতো। নিজের প্রথম টি–টোয়েন্টি সেঞ্চুরিটাকে দারুণ আর স্পেশাল বললেন ডি কক। অনেক দিন ধরেই সেঞ্চুরির ইচ্ছে ছিল আমার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল কৃতিত্ব দিলেন প্রতিপক্ষকে। নিজেকে নিয়ে খানিকটা মজাও করলেন তিনি। পুরো পাগলাটে ব্যাপার। মাঝ বিরতিতে আমরা মনে করেছিলাম, যথেষ্ট পুঁজি হয়েছে।
তবে কুইন্টন ডি কক ও রিজা হেনড্রিকসকে কৃতিত্ব দিতে হবে। প্রথম বল থেকে নিজেদের মেলে ধরেছে তারা। এই নিয়ে সম্ভবত সপ্তমবার হলো, টি–টোয়েন্টিতে ২৪০–২৫০ রান করেও হেরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা হলো আমার। এখন তাই আমি মোটামুটি অভ্যস্ত।