টেকনাফ নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্প থেকে গ্রুপ প্রধান নুরুন্নবীসহ তিন সন্ত্রাসীকে আটক করেছে কক্সবাজার ১৬ এপিবিএন। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় চারশ পিস ইয়াবা ও তিনটি রাম দা। গতকাল শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হল- নয়া পাড়া রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের (ব্লক-ই, শেড-৯৭৪, এমআরসি-০০৩১০) সন্ত্রাসী গ্রুপ প্রধান সামচুল আলমের ছেলে নুরুন নবী (২৯), উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প-৯ ব্লক-বি/৯ এর হামিদ হোসেনের ছেলে মুন্না গ্রুপের সদস্য সৈয়দুল আমিন (২৫) ও মুন্নার চাচা টেকনাফ শালবাগান ক্যাম্পের (ব্লক-এফ/৫) আব্দুস সালামের ছেলে কবির মাঝি (৫২)।
কক্সবাজার ১৬ এপিবিএন অধিনায়ক এসপি মো. হেমায়েতুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৬ এপিবিএন নয়াপাড়া পুলিশ ক্যাম্প পুলিশ পরিদর্শক নিরস্ত্র রকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই মাহবুব হোসেন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালায়। এসময় ৪০০ পিস ইয়াবা ও তিনটি দেশিয় তৈরি রামদা/কিরিচসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরমধ্যে আসামি নুরুন্নবী উখিয়া থানায় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল। কিছু দিন আগে সে জামিনে ছাড়া পেয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। অন্যদিকে মুন্না গ্রুপের সদস্য সৈয়দুল আমিন কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মত পোশাক পড়ে অস্ত্র হাতে বিভিন্ন ভঙ্গিতে ছবি তোলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। পরে সে পালিয়ে টেকনাফ শালবাগন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তার আত্মীয় মাঝি কবিরের বাড়িতে আত্মগোপন করে। তাদের রিমান্ডে নিলে ক্যাম্পে গোলাগুলির ঘটনায় ব্যবহৃত অবৈধ অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা সম্ভব বলে দাবি করেন সাধারণ রোহিঙ্গারা। টেকনাফ মডেল থানায় ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, আটক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।