এক কেজি এলাচের দাম হতে পারে ১৫০০ টাকা, বিক্রি ৩০০০ টাকায়

খাতুনগঞ্জে ক্রয়-বিক্রয় রশিদ না রাখাসহ নানা অনিয়ম অভিযানে ৬ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৫ মার্চ, ২০২৪ at ৭:৪৫ পূর্বাহ্ণ

পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে দেশের বৃহত্তম পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ সময় সেখানে নানা অনিয়ম প্রত্যক্ষ করেছে অভিযান পরিচালনাকারী টিম। এরমধ্যে রয়েছেমূল্য তালিকা না থাকা, ক্রয়বিক্রির রশিদ না রাখা, সরাসরি ডিও/এসও বিক্রি, আমদানী মূল্যের তুলনায় অতিরিক্ত মূল্যে এলাচ বিক্রয়। অভিযানে এসব অপরাধের দায়ে ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে ৫১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি সতর্ক করা হয়েছে। গতকাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি টিম অভিযানে সহযোগিতা করেন। উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আবু বক্কর। পবিত্র রমজান মাসকে সামনে কোনোভাবেই বাজারকে অস্থিতিশীল হতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, বিভিন্ন আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানের এলসি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শুল্কসহ এলাচের দাম কেজি প্রতি সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা হতে পারে, সেখানে পাইকারি বাজারে বিক্রয় হচ্ছে ২৩০০ থেকে ৩০০০ টাকায়। এছাড়াও বেশ কিছু মসলার দাম বেশী আছে বাজারে। দাম বাড়ার কারণটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি আমরা। বারবার হাতবদল বা ডিও/এসও বিক্রিও একটি কারণ হতে পারে। আজ (সোমবার) সামান্য জরিমানা করা হয়েছে, এরপর আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা প্রশাসন এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে বলেও জানান তিনি। জেলা প্রশাসনসূত্র জানায়, খাতুনগঞ্জের ছয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মূল্য তালিকা না থাকা, ক্রয় বিক্রয় রশিদ না রাখার অভিযোগে মদিনা ট্রেডার্সকে ১০ হাজার, আজমির ভান্ডারকে ৩ হাজার, ফারুক ট্রেডার্সকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর সরাসরি ডিও/এসও বিক্রির দায়ে ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজকে ১০ হাজার, দ্বীন এন্ড কোম্পানিকে ৫ হাজার এবং এলাচের বৃহত্তম আমদানীকারক মেসার্স আবু মোহাম্মদ এন্ড কোম্পানিকে আমদানী মূল্যের তুলনায় অতিরিক্ত মূল্যে এলাচ বিক্রির দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে চিনির গুদামের আগুন ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে, তদন্ত কমিটি গঠন
পরবর্তী নিবন্ধপিতা নবম ও পুত্র এসএসসি পাস করেই ‘ডাক্তার’, দুজনকেই কারাদণ্ড