এক কারখানায় প্যাকেট হচ্ছিল ২২ ব্র্যান্ডের চা পাতা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ

ভেজাল চা পাতা প্রক্রিয়াজাতকরণের বিরুদ্ধে গতকাল অভিযান পরিচালনা করেছেন চা বোর্ডের উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ রুহুল আমীন। এ সময় দেখা যায় ২২ ধরনের অনুমোদনহীন নকল প্যাকেট ও ব্র্যান্ড ব্যবহার করে চা পাতা বাজারজাত করছে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী।

মোহাম্মদ রুহুল আমীন আজাদীকে বলেন, চাক্তাই বাজারের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী লাইসেন্স ছাড়া অনুমোদনহীন নকল প্যাকেট ও ব্র্যান্ডে চা প্যাকেটজাত করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে বাজারজাত করছে এমন তথ্য পেয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে চাক্তাই এলাকায় নিজাম টি হাউজকে পঞ্চাশ হাজার, চট্টলা টি হাউজকে বিশ হাজার এবং আবুল কাশেম নামে এক ব্যবসায়ীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে দেখা যায়, চাক্তাইয়ে এক কারখানায় চা প্যাকেজিং হচ্ছে। ম্যাজিস্ট্রেটের তল্লাশিতে একে একে জেলার ঠিকানা লেখা ২২ টি ব্র্যান্ডের প্যাকেট বের হয়ে আসে। ম্যাজিস্ট্রেট জানতে চান ২২ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে। উত্তরে মালিক বলেন, ‘স্যার ভুল হয়ে গেছে, অন্যায় করেছি।’ কেন করেছেন জানতে চাইলে বলেন, ‘চা আমার, প্যাকেজিং মেশিনও আমার,প্যাকেট করে আমার কর্মচারীরাই। কিন্তু ব্র্যান্ড আমার না। যার যে ব্র্যান্ড পছন্দ সে সেই ব্র্যান্ডের প্যাকেট ছাপাইয়া নিয়া আসে, প্যাকেট আমি করি। ঠিকানা ব্যবহার করি ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার, গাজীপুর, ফেনীর। আবার রেডিমেড কিছু ব্র্যান্ডও আছে আমার, যার যেইটা ভাল্লাগে সে সেইটা নেয়। সোজা কথায় ‘চা আমার ব্র্যান্ড আপনার’। এটা বলতে পারেন একটা যৌথ প্রযোজনা ধরনের ব্যবসা।

প্যাকেটের অনুমতি আছে কি না প্রশ্নে মালিক বলেন, ‘অনুমতির আবেদন করব বলে নিয়ত করেছি।’ অনুমতির আগেই শুরু করছেন? হলুদ প্যাকেটই কেন ব্যবহার করছেন ঘটনা কি? দোকানির উত্তর, ‘এই প্যাকেট সবাই এসপাহানি মনে করে কিনে।’ বাংলাদেশ চা বোর্ডের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল বোরহান এবং বাকলিয়া থাকার পুলিশ সদস্যরাও এসময় উপস্থিত ছিলেন।

চা বোর্ড জানায়, নানা অনিয়মের অভিযোগে নগরের চাক্তাই এলাকায় রোববার অভিযানে নামে চা বোর্ড। এ সময় অভিযানের খবর পেয়ে বেশিরভাগ চায়ের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনির্বাচন নির্দিষ্ট কোনো দলের জন্য থেমে থাকে না : কাদের
পরবর্তী নিবন্ধকারাগারে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী