প্রায় ২০ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মদের দুটি বড় চালান খালাস করে নেয়ার ঘটনা ধরা পড়েছে। নানা জালিয়াতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মদের চালান দুটি খালাস করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে গতকাল ভোরে চালান দুটি জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত একটি কন্টেনারের চালান গণনা করে দুনিয়ার সেরা ব্রান্ডের প্রায় ১৭ হাজার লিটার মদ পাওয়া গেছে। অপর কন্টেনারটির ইনভেন্ট্রি আজ সম্পন্ন করা হবে। আইপি জালিয়াতি করে কুমিল্লা ও ঈশ্বরদী ইপিজেডের দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে মেশিনারিজ ঘোষণায় চালান দুটি খালাস করা হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্র জানায়, মদ ভর্তি দুটি কন্টেনার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস করা হয়েছে মর্মে খবর পেয়ে কাস্টমসের একাধিক ইউনিট র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আটক করা হয়। আইপি জালিয়াতি করে কুমিল্লা ও ঈশ্বরদী ইপিজেডের দুটি প্রতিষ্ঠানের নামে মেশিনারিজ ঘোষণায় চালান দুটি খালাস করা হয়। আটকের পর থেকে মদের চালানের ইনভেন্ট্রি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত এমএসসিইউ ৮২৬৬৭১৩ নম্বরের ৪০ ফুটি কন্টেনারের ভিতরে পাসপোর্ট, স্কচ হুইস্কি, সিভাচ রিগ্যাল, জনি ওয়াকার, রেড লেভেল, ব্ল্যাক লেভেল, ভোদকাসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের ১৬ হাজার ১১৭.৫ লিটার মদ পাওয়া গেছে। এসব মদের আমদানি মূল্য প্রায় ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এই একটি কন্টেনারে শুল্ক ফাঁকি দেয়া হচ্ছিল ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। অপর কন্টেনারটি ঢাকায় র্যাব হেডকোয়ার্টারে নেওয়া হয়েছে। ওটির ইনভেন্ট্রি আজ করা হবে বলে কাস্টমস সূত্র জানিয়েছে।
কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার সাইফুল হক জানান, কুমিল্লা ইপিজেডের হেশি টাইগার কোম্পানি লিমিটেডের নামে ২০ জুলাই টেঙার্ড ইয়ার্ন ঘোষণায় চীন থেকে আসা ১৯ হাজার ৬৫০ কেজি ওজনের চালানটি খালাসের জন্য কাস্টমস হাউসে বিল অফ এন্ট্রি দাখিল করেছিল। একই দিন ঈশ্বরদী ইপিজেডের বিএইচকে টেঙটাইল লিমিটেডের নামে চীন থেকে আসা রোভিং মেশিন ববিন ঘোষণায় ২০ হাজার ৭৫০ কেজি ওজনের অপর একটি চালান খালাসের জন্য বিল অফ এন্ট্রি দাখিল করা হয়। সিঅ্যান্ডএফ হিসেবে ছিল নগরীর ডবলমুরিংয়ের ৬৯৯ কেবি দোভাষ লেনের জাফর আহমেদ। নানা প্রক্রিয়া শেষে চালান দুটি খালাস করা হয়। দুই চালানেই বিপুল পরিমাণ মদ পাওয়া গেছে।