মাত্র ১৯ বলে ৬২। নিকোলাস পুরানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংসে সোমবার রাতে ২১৩ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে শেষ বলে ১ উইকেটে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে হারিয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। এই ম্যাচে পুরান আইপিএলের চলতি আসরে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েছেন। তিনি রান করেন ৩৪০ স্ট্রাইক রেটে। মাত্র ১৫ বলে করেন হাফ সেঞ্চুরি। এ সময় ক্যারিবিয়ান খেলোয়াড় মারেন চারটি চার ও সাতটি ছক্কা। পুরানের ব্যাট থেকে ১৫ বলের ফিফটিও আইপিএল ইতিহাসে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটিতে জায়গা করে নিয়েছে। নিকোলাস পুরানের আগে ইউসুফ পাঠান এবং সুনিল নারিন ১৫ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছেন। ইউসুফ ২০১৪ সালে এবং নারিন ২০১৭ সালে এই কীর্তি অর্জন করেছিলেন। এদিকে এবারের আইপিএলে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ডটি ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের ব্যাটার আজিঙ্কা রাহানের। তিনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ১৯ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রাহানে ২৭ বলে ৬১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছিলেন। এই ইনিংস খেলার পথে আরও একটি রেকর্ড করতে দেখা গিয়েছে পুরানকে। লোকেশ রাহুল, সুরেশ রায়না, আন্দ্রে রাসেলের আসনে জায়গা পেয়েছেন তিনি। ম্যাচে পুরান ৬২ রানের মধ্যে ৫৬ রান করেন বাউন্ডারি মেরে। অর্থাৎ পুরান ৯৩.৫৪ শতাংশ রান বাউন্ডারি থেকে করেন। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে সুরেশ রায়না।
তিনি ২০১৪ সালে চেন্নাইয়ের হয়ে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচে ৮৭ রান করেছিলেন যার মধ্যে ৮৪ রান করেছিলেন বাউন্ডারি হাঁকিয়ে। কলকাতার রাসেল ২০১৯ সালে ব্যাঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ৬৫ রান করেছিলেন। যার মধ্যে ৬২ রান এসেছিল বাউন্ডারি থেকে। ২০১৮ সালে পাঞ্জাবের হয়ে লোকেশ রাহুল ৫১ রান করেছিলেন, যার মধ্যে ৪৮ রান তিনি বাউন্ডারি মেরে করেছিলেন। এই তালিকায় এখন চার নম্বরে রয়েছেন নিকোলাস পুরান। আইপিএলে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটে পঞ্চাশের বেশি রান করা খেলোয়াড়দের তালিকায়ও জায়গা করে নিয়েছেন পুরান। প্যাট কামিন্স, সুরেশ রায়না, ইউসুফ পাঠানের পরে এখন তার নামটি। ২০২২ সালে কেকেআরের হয়ে মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ৩৭৩.৩৩ স্ট্রাইক রেটে ১৫ বলে অপরাজিত ৫৬ রানের ইনিংস খেলে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন প্যাট কামিন্স।