পাঁচ মাস একা বিমান চালিয়ে দুনিয়া ঘুরে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে ১৭ বছর বয়সী এক ব্রিটিশ-বেলজিয়ান পাইলট।
ম্যাক রাদারফোর্ড নামের এই কিশোর তার ছোট্ট শার্ক বিমানটি নিয়ে ৫২টি দেশের আকাশ ঘুরে বুলগেরিয়ার সোফিয়াতে এসে যাত্রা শেষ করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। চলতি বছরের ২৩ মার্চ বুলগেরিয়ার রাজধানী থেকে যাত্রা শুরুর পর বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে। সুদানে মুখোমুখি হতে হয়েছে বালিঝড়ের, রাত কাটাতে হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরের নির্জন দ্বীপে; দুবাইয়ের তীব্র গরম আর ভারতে আচমকা বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়ার মতো ঘটনাও দেখতে হয়েছে ম্যাককে। এ সব প্রতিবন্ধকতা জয় করেই তার বিমান ঘুরে বেড়িয়েছে ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা আর যুক্তরাষ্ট্রের আকাশ, পাড়ি দিয়েছে দুটি মহাসাগর। খবর বিডিনিউজের।
অবশ্য কেবল বাধা আর বিপত্তিই নয়, কেনিয়ার বিস্তৃত অভয়ারণ্য কিংবা নিউ ইয়র্কের দিগন্তছোঁয়া ভবনগুলোর উপর দিয়ে বিমান চালিয়ে পুলকিত হওয়ার কথাও জানিয়েছে এই কিশোর। তার বিমান যুক্তরাজ্যের স্কটল্যান্ডের উইকে নামার পর দিনকয়েক আগেই লন্ডনের বিগিন হিল বিমানবন্দর থেকে উড়াল দিয়েছিল।
ম্যাকের পরিবারকে বিমানচালকদের পরিবার হিসেবেও চিহ্নিত করা যায়। বিমান চালানোর দক্ষতা তাদের কয়েক প্রজন্মের। ম্যাকের বাবা স্যাম রাদারফোর্ড একজন পেশাদার ফেরি পাইলট, মা বিয়েট্রিসও প্রাইভেট পাইলট। তার ১৯ বছর বয়সী বোন জারা চলতি বছরই বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নারী হিসেবে একা বিমান চালিয়ে বিশ্ব ঘোরার রেকর্ড গড়েছেন।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে মাত্র ১৫ বছর বয়সে বিমান চালনোর লাইসেন্স পায় ম্যাক। যে বিমানটি নিয়ে দুনিয়া দেখেছে ম্যাক, সেটি ছিল উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন খুবই হালকা বিমান, যার স্বাভাবিক গতিই ঘন্টায় ৩০০ কিলোমিটার। পাঁচ মাসের যাত্রা শেষ করে এই কিশোর গিনেজ বুকের দুটি বিশ্বরেকর্ড ভেঙেছে। এর একটি হচ্ছে- একা বিমান নিয়ে বিশ্ব ঘোরা সর্বকনিষ্ঠ চালকের রেকর্ড, অন্যটি মাইক্রোলাইট বিমান নিয়ে বিশ্ব ভ্রমণের।
স্বপ্নপূরণে এগিয়ে যান, বয়স কোনো বিষয় নয়। পরিশ্রম করুন আর লক্ষ্য পূরণের পথে এগিয়ে যান, রেকর্ড গড়ার পর সবার উদ্দেশ্যে দেওয়া বার্তায় এমনটাই বলেছে মাত্র তিন বছরে বিমান নিয়ে ওড়ার স্বপ্ন দেখা ম্যাক।