গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা এবং নির্বাচন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপিকে দূরে রাখতে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট অপশক্তির সাথে হাত মিলিয়ে গুপ্তভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। এসময় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন দেশনায়ক তারেক রহমান ও বিএনপিকে নিয়ে আর কোনো ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিলে এবং অপপ্রচার চালানো হলে পিটের চামড়া থাকবে না। এদেশের মানুষ একাত্তরের মতোই বাংলার মাটি থেকে এই একাত্তরের পরাজিত শক্তি গুপ্ত দলকে পিটিয়ে বিদায় করবে। তিনি গতকাল বিকেলে জুলাই–আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়েজিত দোয়া মাহফিল, কালো ব্যাচ ধারণ ও মৌন মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। কর্ণফুলী উপজেলার ক্রসিং চত্বরে আয়োজিত এ মৌন মিছিলপূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়া ও সঞ্চালনা করেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন।
মৌন মিছিলে দক্ষিণ জেলার আওতাধীন ১৫ উপজেলা–পৌরসভা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। মিছিলটি কর্ণফুলী মেগা কনভেনশান সেন্টারের সামনে থেকে শুরু হয়ে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে মইজ্জারটেক এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। এর আগে জুলাই–আগস্টে নিহত সকল শহীদের স্মরণে এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, যারা ১৯৭১সালে দেশের বিরুদ্ধে, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল সেই পরাজিত শক্তি এখন আবারো ২০২৫ সালে এসে দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। সে দলের নেতারা গুপ্তভাবে স্বাধীনতার মহান ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও দেশনায়ক তারেক রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা একাত্তরে যেমন জিয়াউর রহমানের হাতে পরাস্ত হয়েছিল ঠিক তেমনি এখন দেশনায়ক তারেক রহমানের হাতে পরাস্ত হবে। এসময় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিশ্রুত নির্বাচনে বিএনপির বিজয় সুনিশ্চিত করতে দলের সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস, যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, আজিজুল হক চেয়ারম্যান, নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, আসহাব উদ্দিন চৌধুরী, জামাল হোসেন, মুজিবুর রহমান, রেজাউল করিম নেচার, সাইফুদ্দীন সালাম মিঠু, সদস্য বদরুল খায়ের চৌধুরী, এস এম মামুন মিয়া, আমিনুর রহমান চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, নাজমুল মোস্তফা আমিন, মাস্টার মোহাম্মদ লোকমান, শওকত আলম চৌধুরী, এস এম ছলিম উদ্দিন খোকন চৌধুরী, হাজী মো. রফিকুল আলম, মাস্টার রফিক আহমদ, রাজীব জাফর চৌধুরী, সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী, সরওয়ার হোসেন মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির, হাজী মোহাম্মদ ওসমান, জাগির আহমদ, আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মেল হক বেলাল, জসিম উদ্দিন, সালাউদ্দীন চৌধুরী সোহেল, শেফায়েত উল্লাহ চক্ষু, ফৌজুল কবির ফজলু, মোহাম্মদ শাহীনুর শাহীন, মোহাম্মদ ইসমাইল, ইখতিয়ার হোসেন ইফতু, খন্দকার হেলাল উদ্দিন, জাবেদ মেহেদী হাসান সুজন, মো:ইব্রাহীম, দিল মোহাম্মদ মনজু, এম মনছুর উদ্দিন, মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, ছালেহ জহুর, দেলোয়া আজিম, শাহাদাত হোসেন সুমন ও দেলোয়ার হোসেন।