Home খেলা একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুল সেমিফাইনালে

একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুল সেমিফাইনালে

0
একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুল সেমিফাইনালে

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আয়োজিত এবং চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় ইয়ং টাইগার জাতীয় স্কুল ক্রিকেট প্রতিযোগিতার চট্টগ্রাম অঞ্চলে সেমিফাইনালে উঠেছে একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুল। গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত গ্রুপ ‘বি’ এর খেলায় তারা ৪ উইকেটে সিএমপি স্কুল এন্ড কলেজকে পরাজিত করে। এটা তাদের দ্বিতীয় জয়। এর আগে প্রথম খেলায় তারা চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলকে পরাজিত করেছিল। দুই জয়ে তারা সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো। সেমিফাইনালে তারা খেলবে গ্রুপ ‘সি’ এর চ্যাম্পিয়ন দলের সাথে। এই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল এখনো নির্ধারণ হয়নি। আগামী ৭ মে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ উচ্চ বিদ্যালয় এবং হাজেরা তজু স্কুল এন্ড কলেজের মধ্যে অনুষ্ঠেয় খেলার পর গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নির্ধারন হবে। সে দলের সাথে খেলবে একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুল। গতকাল মহিলা কমপ্লেক্স মাঠে অনুষ্ঠিত খেলায় টসে জিতে সিএমপি স্কুল এন্ড কলেজ প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ৩৯ ওভার ৪ বল খেলে তারা ১২৬ রান তুলে অল আউট হয়ে যায়। আবু সাইদ দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন। এছাড়া জুবায়ের আলম ২৩ এবং শাহরিয়ার রোকন ১৮ রান করেন। অতিরিক্ত থেকে আসে ১৫ রান। একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুলের সুমন মিয়া ৪১ রান খরচ করে ৪টি উইকেট দখল করেন। জয় দাস পান ২৪ রান দিয়ে ৩টি উইকেট। এছাড়া ফরহাদ হোসেন ২টি এবং মো. সজিব ১টি উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুল শুরুতেই উইকেট হারায়। দলের খাতায় কোন রান জমা হওয়ার আগেই দুই ব্যাটার ওপেনার মো. শ্রাবন এবং সাইফুল ইসলাম বিদায় নেন। তারা দুজনই ফকরুল আলমের বলে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন। শূন্য রানে দুই উইকেট হারানো একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুল এরপরও ধুকতে থাকে। দলীয় ১৮ রানে মোট পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এরপর জয় দাস এবং মো. ইয়াসিন ক্রিজে এসে দৃঢ়তার পরিচয় দেন। মূলত তাদের এ দৃঢ়তার কারনেই একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুল জয়ের দ্বারে চলে যায়। ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে তারা ৭৩ রান সংগ্রহ করেন। দলীয় ৯১ রানের মাথায় জয় দাস নেওয়াজ তানভীর বলে রোকনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। তার আগে ২৭ বল খেলে ৪৬ রান সংগ্রহ করেন তিনি। ৬টি চার এবং ৩টি ছক্কা হাঁকান জয় তার ইনিংসে। বাকি পথ সামাল দেন মো. ইয়াসিন এবং সুমন মিয়া। সুমন ২ রানে অরাজিত থাকলেও মো. ইয়ামিন করেন অপরাজিত ৩৬ রান। ৫৪ বল খেলে ৫টি চারের সাহায্যে তিনি ঐ রান সংগ্রহ করেন। অতিরিক্ত থেকে আসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান। একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুল ২০ ওভার ১ বল খেলে ৬ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।

সিএমপি স্কুল এন্ড কলেজের ফকরুল আলম ৩৬ রান দিয়ে ৩টি উইকেট দখল করেন। ১টি করে উইকেট নেন প্রতাপ ত্রিপুরা এবং নেওয়াজ তানভী। বিজয়ী একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুলের জয় দাস বল হাতে ৩ উইকেট এবং ব্যাট হাতে ৪৬ রান করার সুবাদে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন। তার হাতে ক্রেষ্ট তুলে দেন আম্পায়ার ওমর ফারুক।