জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে চলে গেছে চিটাগাং আউটার রিং রোডের ওভারপাস। ফলে স্টেডিয়ামের ইনডোর ভেঙে ফেলতে হয়েছে। যদিও চিটাগাং আউটার রিং রোড প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নতুন করে দৃষ্টিনন্দনভাবে ইনডোরটি করে দিচ্ছে স্টেডিয়ামের অপর প্রান্তে। যার সিংহভাগ কাজ শেষ হয়েছে। হয়তো আগামী জানুয়ারিতে এই ইনডোরের কাজ শেষ হয়ে যাবে। যেহেতু সিডিএকে স্টেডিয়ামের বিশাল একটি অংশ দিয়ে দিয়েছে বিসিবি সেহেতু চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে আরো একটি জিনিস চেয়েছে তারা।
আর সেটি হচ্ছে একটি একাডেমিক ভবন। আর সে ভবন নির্মাণ করে দিতে রাজিও হয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে একাডেমিক ভবনটির ডিজাইনও করা হয়েছে। দ্বিতল বিশিষ্ট এই ভবনের নিচ তলায় থাকছে অভ্যর্থনা কক্ষ, ২টি অফিস, একটি কনফারেন্স রুম, একটি বড় সম্মেলন কক্ষ, স্টাফ রুম, রান্না ঘর, ডাইনিং রুম, হাউজ কিপিং, ইনডোর গেমস কক্ষ, আইটি রুম এবং টয়লেট বক্ল। এল আকৃতির এই ভবনের উপরের তলায় থাকবে ২২টি কক্ষ। যেখানে ৪০ জনের মতো ক্রিকেটার এবং কোচিং স্টাফ থাকতে পারবে। ক্রিকেট বোর্ড চাইছে জাতীয় লিগ, একাডেমি দলের ম্যাচ কিংবা বাংলাদেশ ‘এ’ দলের কোন খেলা হলে যাতে ক্রিকেটার এবং কোচিং স্টাফরা থাকতে পারে সেজন্য এই একাডেমিক ভবনটি নির্মাণ করে দিতে অনুরোধ করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে। ভবনটির সামনে থাকবে একটি সবুজ চত্ত্বর। জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে খালি জায়গায় এই একাডেমি ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে বিসিবি। যদিও এখনো ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস জানান, বিসিবির পরিচালক আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন এবং বিসিবির একাধিক পরিচালক সিডিএকে অনুরোধ করে এ ধরনের একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণ করে দিতে। আর তাতে সিডিএ রাজি হয়েছে। তবে যেহেতু কাজটি সরকারি কাজ সেহেতু সেটা পরিকল্পনা কমিশনে পাশ হতে হবে। পরিকল্পনা কমিশনের সভায় ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে হয়তো সেটা পাশ হয়ে যাবে। সে সভায় ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিনিধিদের ডাকা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করছেন যেহেতু বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম. মুস্তফা কামাল ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ছিলেন সেহেতু হয়তো এই প্রকল্পটি সহজে পাশ হয়ে যাবে। যদিও এখনো এই সভাটি কবে হতে পারে তা জানাতে পারেনি কর্মকর্তারা। তবে সে সভায় ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিনিধি উপস্থিত থেকে ভবনটির প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির এক কর্মকর্তা।