একাডেমিক কাউন্সিলের সভা থেকে চার শিক্ষক নেতার ওয়াকআউট

সিন্ডিকেটে একাডেমিক কাউন্সিল প্রতিনিধি নির্বাচনের দাবি

চবি প্রতিনিধি | বুধবার , ২৬ জুলাই, ২০২৩ at ৫:০৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) সিন্ডিকেটে দীর্ঘদিন ধরে একাডেমিক কাউন্সিলের প্রতিনিধি নির্বাচন না দেয়ায় একাডেমিক কাউন্সিলের সভা থেকে ওয়াকআউট করেছেন শিক্ষক সমিতির চার নেতা। তারা হলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, সহসভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আবদুল হক ও সদস্য প্রফেসর ড. লায়লা খালেদা আঁখি। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে একাডেমিক কাউন্সিলের ২৪৪তম সভা শুরু হয়। এর ১৫ মিনিটের মাথায় উপাচার্যকে একটি চিঠি দিয়ে শিক্ষক সমিতির চার নেতা ওয়াকআউট করেন।

উপাচার্যকে দেয়া চিঠিতে বলা হয়, দীর্ঘ দিন ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটে একাডেমিক কাউন্সিলের প্রতিনিধি নেই। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ২৪৩তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভার আগে আপনার এবং উপউপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় শিক্ষক সমিতির অনুরোধ সত্ত্বেও ২৪৩তম সভায় ‘একাডেমিক কাউন্সিল টু সিন্ডিকেট’ নির্বাচন না দিয়ে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে পরে একাডেমিক কাউন্সিলে ‘একাডেমিক কাউন্সিল টু সিন্ডিকেট’ নির্বাচন দেয়ার মৌখিক আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনো তা কার্যকর না হওয়ায় প্রতিবাদস্বরূপ আমরা আজকের একাডেমিক কাউন্সিলের সভা থেকে ওয়াকআউট করছি।

এ বিষয়ে চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আবদুল হক বলেন, সর্বশেষ অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিল সভার আগে আমরা উপাচার্যের কাছে সিন্ডিকেটে একাডেমিক কাউন্সিল প্রতিনিধি নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়েছিলাম। তখন উপাচার্য পরের একাডেমিক কাউন্সিল সভা দ্রুত আহ্বান করে সেখানে নির্বাচন আয়োজনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পর একাডেমিক কাউন্সিল সভা আয়োজন করলেও নির্বাচনের উদ্যোগ তিনি নেননি।

তিনি বলেন, আমরা আজকের সভার শুরুতেই উপাচার্যকে বলেছি, আপনি ঘোষণা দেন আগামী একাডেমিক কাউন্সিল সভায় নির্বাচন দেবেন। তখন উপাচার্য জানান, তিনি এ ঘোষণা দিতে বাধ্য না। তাই আমরা সভা থেকে ওয়াকআউট করেছি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ২৫ () ধারা অনুযায়ী, একাডেমিক কাউন্সিল থেকে নির্বাচিত একজন সদস্য সিন্ডিকেটে প্রতিনিধিত্ব করবেন। এই পদে সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০১৫ সালে। তখন প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মহীবুল আজিজ। পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত পদে থাকার সুযোগ থাকায় তিনি চলতি বছর জানুয়ারি পর্যন্ত পদে বহাল ছিলেন। ১১ জানুয়ারি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করলে পদটি শূন্য হয়ে যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঢাকা-চট্টগ্রাম ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন চালু
পরবর্তী নিবন্ধকর্ণফুলী গ্যাসের ৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত