নগরীর ওয়াসা মোড়ে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে প্রতি বছরের মতো এবারও রোজাদারদের জন্য রয়েছে বাহারি ইফতারের আয়োজন। গতকাল প্রথম রমজানে হাজারখানেক রোজাদার ইফতার করেছেন বলে জানিয়েছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, সারিবদ্ধভাবে বিভিন্ন শ্রেণী–পেশার মানুষ ইফতারির অপেক্ষায় রয়েছেন। মসজিদের স্বেচ্ছাসেবকরা রোজাদার মুসল্লিদের মাঝে ইফতারি পরিবেশন করছেন। ইফতারি পরিবেশনের আয়োজন শুরু হয় আসরের নামাজের পর থেকে। প্রতিটি প্লেটে ৫–৬ জনের ইফতার দেওয়া হয়। মসজিদে ইফতার করতে আসা বেশিরভাগ মানুষ নিম্নআয়ের। এছাড়া পথচারী ও আশেপাশের বস্তি থেকেও রোজাদাররা এখানে এসে ইফতার করেন।
জানা গেছে, জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে ১৯৮৬ সাল থেকে প্রতি বছর রমজানে ইফতারির আয়োজন করে আসছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ২০১১ সালে চট্টগ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের পৃষ্ঠপোষকতায় ইফতার আয়োজনের আওতা বাড়ে। এরপর থেকে প্রতি রমজানে অন্তত দেড় হাজার মুসল্লি মসজিদে ইফতার করে আসছেন।
মসজিদে কর্মরত একজন স্বেচ্ছাসেবক জানান, প্রতিদিন ইফতারিতে ছোলা, মুড়ি, খেজুর, পেঁয়াজু, বেগুনি, সমুছা, সেমাই ও শরবত দেয়া হচ্ছে। বিকেল থেকে ইফতারি তৈরি ও পরিবেশনের ব্যস্ততা শুরু হয়।
জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে ইফতার করতে আসা রিকশা চালক আমির হোসেন জানান, সবার সাথে ইফতার করলে সওয়াব বেশি পাওয়া যায় বলে শুনেছি। এছাড়া এখানে কোনো ভেদাভেদ নেই। আমরা গরিব মানুষ। নিজের টাকায় এত ভালো ইফতারি কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। তাই এখানে ইফতার করতে এসেছি।
কলেজ ছাত্র শাহরিয়ার আহমেদ বলেন, আমি মেসে থাকি। ওয়াসার মোড়ের দিকে একটা কাজে এসেছিলাম। সময় কম, তাই মসজিদে এসেছি ইফতার করতে। একটি বেসরকারি ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড আবুল মনছুর বলেন, আমি প্রতি বছর এখানে ইফতার করি। একসাথে ইফতার করতে ভালো লাগে।