একসঙ্গে গাজা অভিমুখে ফ্রিডম ফ্লোটিলার সব নৌ-যান

| রবিবার , ৫ অক্টোবর, ২০২৫ at ৪:৫০ পূর্বাহ্ণ

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সবগুলো নৌযান ইসরায়েল কর্তৃক আটক হলেও ভূমধ্যসাগরে হয়ে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা অবিরত রেখেছে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) ও থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (টিএমটিজি) নৌবহর। এ বহরে ‘কনশানস’ নামে একটি বড় জাহাজ রয়েছে, যার আওতায় রয়েছে আরও আটটি নৌযান। বর্তমানে সবগুলো একসঙ্গে গাজা অভিমুখে রয়েছে। খবর বাংলানিউজের।

কনশানস জাহাজটিতে অবস্থান করছেন দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। গতকাল শনিবার দুপুরে নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে কনশানস জাহাজ সম্পর্কে জানান তিনি। ফেসবুকের মাধ্যমে শহিদুল আলম জানিয়েছেন, গাজার দিকে অগ্রসর হতে থাকা কনশানস নৌযানটি সবার শেষে রওনা করেছিল। কিন্তু এটি তাদের বহরের আওতায় থাকা অন্য আটটি নৌযানকে ধরে ফেলেছে। কনশানসের গতি বেশি হওয়ায় এটি সম্ভব হয়, তবে এখন জাহাজটির গতি কমিয়ে ফেলা হয়েছে। বহরের সবগুলো নৌযান একসঙ্গে রয়েছে।

কনশানস হলো আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এবং থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (টিএমটিজি) নৌবহরের একটি জাহাজ। এফএফসি হলো গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার নামক বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অংশ, যা ইসরায়েলের অবরোধ ভেঙে গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর উদ্যোগে জড়িত। তবে কনশানসসহ এফএফসির বহরে কোনো খাদ্য সহায়তা নেই।

কনশানস এ বহরের সবচেয়ে বড় নৌযান গত ৩০ সেপ্টেম্বর এটি সবার শেষে ইতালি থেকে রওনা করেছিল। এ জাহাজটির আগে আরও আটটি নৌযান রওনা করেছিল। এছাড়া আরও দুটি নৌকাও আগে ছিল। তবে ওই দুটি নৌকার অবস্থান এখনো নিশ্চিত নয়। কনশানস সবার শেষে রওনা করলেও এটির গতি বেশি হওয়ায় আগে রওনা করা আটটি নৌযানকে ছুঁয়ে ফেলেছে। এখন কনশানসের গতি কমানো হয়েছে এবং সব নৌযান একযোগে এগিয়ে যাচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজিম্মি মুক্তিতে রাজি হামাস, গাজা দখল স্থগিতের নির্দেশ ইসরায়েলের
পরবর্তী নিবন্ধবন্ধুদের সাথে খেলছিল শিশুটি, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু