একশ অদম্য পাড়ি দেবে ৩শ কিমি পাহাড়ি পথ

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী মাউন্টেইন সাইকেলিং প্রতিযোগিতা ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুর ডি সিএইচটি এমটিবি চ্যালেঞ্জ’র উদ্বোধন করলেন তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ এমপি। গতকাল সোমবার সকালে রাঙামাটির সাজেক ভ্যালিতে তিনি এর উদ্বোধন করেন। সাজেক থেকে শুরু হওয়া মাউন্টেইন রেইসিং বান্দরবানের থানচিতে গিয়ে শেষ হবে। প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১০০ প্রতিযোগী অংশ নিয়েছেন। তিনদিনে প্রতিযোগীরা ৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিবেন। মাউন্টেইন রেসিংয়ে বিজয়ী পাবেন ৩ লাখ টাকা। এতে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা থেকে অংশ নিয়েছেন ৪৫ জন এবং দেশের বিভিন্ন জেলার থেকে অংশ ৫৫ জন। সাজেক থেকে শুরু হওয়া সাইকেল রেসিংয়ের ১ম দিনে সাইকেলিস্টরা পাড়ি দিবেন প্রায় ১১০ কিলোমিটার পথ। পরদিন অর্থাৎ ২য় দিনে রাঙামাটি থেকে বান্দরবান পর্যন্ত ৯০ কিমি পাহাড়ি সড়কে সাইকেল চালাবেন একশ প্রতিযোগী। শেষ দিনে বান্দরবান থেকে ৮০ কিমি পথ পাড়ি দিয়ে থানচিতে গিয়ে শেষ হবে সাইকেলিস্টদের এই চ্যালেঞ্জ। তিনদিনের এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী পাবেন ৩ লক্ষ টাকা। এছাড়া ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারী পাবেন ২ লক্ষ ও দেড় লক্ষ টাকা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেন, ‘দেশের অন্যান্য জেলার চেয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন বেশি হচ্ছে। কারণ বর্তমান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে অধিক মনোযোগী। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের চিত্র বদলে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য দেখতে পর্যটকরা পাহাড়ে আসছেন। পরিকল্পিত পর্যটন এলাকা গড়তে সরকার কাজ করছে। ম্যাউন্টেইন সাইকেলিং এর মাধ্যমে পাহাড়ে পর্যটন আরো বিকশিত হবে।’
সাইকেল র‌্যালিতে অংশ নেয়ারা জানান, ‘কয়েক বছর ধরে পাহাড় পেরোনোর জন্য চ্যালেঞ্জের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। দীর্ঘদিন পর ম্যাউন্টেইন সাইকেলিং এর সুযোগ পেয়েছি। তিনদিনে অনেক বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হবে। প্রত্যেক সাইকেলিস্ট কঠিন এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর চাকমা, খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিকুল আলম, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের কমান্ডার ফয়জুর রহমান, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মং সুই প্রু চৌধুরী অপু, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুজিবর রহমান, দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কাশেম প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউচ্ছেদের ১৫ দিন না যেতেই ইটভাটায় নতুন চিমনি
পরবর্তী নিবন্ধদেশের শান্তিতে যারা খুশী নয়, পাহাড়ের উন্নয়নেও তারাই নাখোশ