দীর্ঘ একমাস পর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুমধুমের পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার থেকে সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় স্কুলগুলো খোলে দেয়া হয়। স্কুলগুলো হলো– বাইশফাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু পশ্চিমকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রেজু গর্জনবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
গতকাল সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের উপস্থিতিতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ সরগরম হয়ে উঠেছে। সীমান্ত অঞ্চলের মানুষদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তবে সীমান্তের নিরাপত্তায় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি সদস্যরা।
দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হামিদুল হক বলেন, প্রথম দফায় সাত দিন বন্ধ ছিল, দ্বিতীয় দফায় একটানা ২৩ দিন বন্ধ ছিল সীমান্তের পাঁচটি স্কুল। বুধবার থেকে আমাদের স্কুলসহ পাঁচটি স্কুল খোলায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে।
স্কুল শিক্ষার্থী সৈয়দ আলম, ছোনিয়াসহ কয়েকজন বলে, অনেকদিন পর স্কুলে যেতে পেরে ভীষণ খুশি লাগছে। স্কুলের মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে পারছি। গোলাগুলির শব্দ না থাকায় কোনো ভয় লাগছে না, আমরা প্রতিদিন স্কুলে যেতে চাই। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতে নিরাপত্তা বিবেচনায় পাঁচটি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। গত ২৯ জানুয়ারি বন্ধ ঘোষণা করা স্কুলগুলো সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত হয়ে উঠায় খোলে দেয়া হয়েছে। স্কুলগুলো শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যালয়গুলোতে বুধবার থেকে পাঠদান শুরু হয়েছে।