একদিন পর চট্টগ্রাম আবার করোনাশূন্য

আজাদী অনলাইন | রবিবার , ১৭ এপ্রিল, ২০২২ at ১:১১ অপরাহ্ণ

আগের দিন ২ জন আক্রান্ত শনাক্তের পর সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম আবার করোনাশূন্য হয়েছে। ফলে এ মাসের ১৬ দিনের মধ্যে ১০ দিন করোনাবিহীন কেটেছে।

চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর ছয় ল্যাবরেটরিতে গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের ৩৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সবগুলো নমুনার নেগেটিভ রেজাল্ট আসায় জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৬৩৬ জনই রয়েছে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯২ হাজার ৯৮ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৫৩৮ জন। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৪ জন ও গ্রামের ৬২৮ জন।

উল্লেখ্য, গতকালের আগে চট্টগ্রাম করোনার সংক্রমণশূন্য ছিল ১৪ এপ্রিল। চলতি মাসের প্রথম ১৬ দিনের মধ্যে ১, ৩, ৪, ৬, ৯, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ এপ্রিলসহ মোট ১০ দিন করোনাবিহীন ছিল। এর মধ্যে ১১ থেকে ১৪ এপ্রিল একটানা চারদিন করোনাশূন্য কাটে। ২০২০ সালের ৮ এপ্রিল করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর গত বছরের ২১ নভেম্বর চট্টগ্রামে প্রথম করোনার সংক্রমণ ঘটেনি। একই বছরের ৩ ডিসেম্বর ও চলতি বছরের ৩০ মার্চ কোনো নতুন আক্রান্ত পাওয়া যায়নি জেলায়। ফলে বিগত দুই বছরে চট্টগ্রাম জেলায় মোট তেরো দিন করোনার নতুন সংক্রমণবিহীন সময় পার হয়েছে।

ল্যাবভিত্তিক আজকের রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ২৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩০, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৪৪, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১৫, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১২, এপিক হেলথ কেয়ারে ২০ ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ১৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সাত ল্যাবে পরীক্ষিত ৩৭৭ নমুনার একটিতেও করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মিলেনি।

এদিন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা), চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, ল্যাব এইড, এভারকেয়ার হসপিটাল ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা পরীক্ষার জন্য যায়নি। নমুনা সংগ্রহের কোনো কেন্দ্রেই একজনের এন্টিজেন টেস্টও হয়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল যুবকের
পরবর্তী নিবন্ধসেহেরী খেয়ে হাটহাজারীতে যুবকের আত্মহত্যা