করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের মানবিক স্বেচ্ছাসেবক টিম গত ১৬ এপ্রিল একদিনেই ১৫ জন মৃতের গোসল কাফন দাফন এবং এম্বুলেন্স সহায়তা দিয়েছে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এবং করোনায় মৃতের দাফন এবং রোগী সেবা কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার জানান, রাত ২টার পর হতে শুরু হয় আমার কাছে একের পর এক বিভিন্ন হাসপাতালে ইন্তেকাল করা লোকদের পক্ষে ফোন আসা, যা দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার বদিউল আলম, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান মাস্টার, তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদের চাচী ফাতেমা বেগম, কর আইনজীবী আহসান হাবিব, বীমা কর্মকর্তা গিয়াসউদ্দিন,বড় উঠানের হাফেজ আহমদ, ডুমুরিয়ার মোহাম্মদ জুবায়ের পটিয়ার মোহাম্মদ উল্লাহ্, গুমান মর্দনের মোহাম্মদ ইসমাইল, নোয়াপাড়ার নাসিমুল গনিসহ মোট ১৫ জন নারী পুরুষের মরদেহ গোসল-কাফন এবং অ্যাম্বুলেন্স সহায়তাসহ দাফনের দায়িত্ব পালন করেছে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবকরা, যাদের অধিকাংশই ছিলেন করোনা এবং করোনা উপসর্গের রোগী ।
এই মানবিক কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক বখতিয়ার বলেন, এই করোনাকালে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত, চট্টগ্রামে ১৯২২ জন এবং সারাদেশে ২৩৪৩ জনকে দাফন সহায়তা দিল,এবং সৎকার সহায়তা দিল ২৯ জন হিন্দু, ৩ জন বৌদ্ধকে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন ৩৫ জন। অজ্ঞাত লাশ ছিল ১৩ জন। অঙিজেন সেবা দেওয়া হলো ১৩৭৪০ জনকে। এম্বুলেন্সে রোগী সেবা দেওয়া হলো ২৬৬৮ জনকে। অন্তত ১২০০০ মানুষকে দেওয়া হয়েছে ফ্রী চিকিৎসা এবং ওষুধ সহায়তা। তাছাড়া, ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে করোনা পরীক্ষার জন্য দৈনিক ন্যূনতম ৩০ জনের নমূনা সংগ্রহের সেবাটিও চলমান আছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।