ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে চাক্তাই–খাতুনগঞ্জে মাত্র একদিনের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এর আগে গত শনিবার চাক্তাই–খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে দেশি নতুন পেঁয়াজ এসেছে। এছাড়া ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) মেলার কারণে বাজার এখন নিম্নমুখী।
গতকাল রোববার চাক্তাই–খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে বর্তমানে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৮৫ থেকে ৯৫ টাকা। এদিকে পাইকারিতে দাম কমলেও খুচরা বাজারে এর প্রভাব এখনো পড়েনি। বাজারে এখনো প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০–১৪০ টাকায়। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, এখন তাদের কাছে যেসব পেঁয়াজ আছে সেগুলো বেশি দামে কেনা। তাই দাম কমিয়ে বিক্রি করলে তাদের লোকসান গুণতে হবে।
পেঁয়াজের আড়তদাররা বলছেন, চাক্তাই–খাতুনগঞ্জের আড়তে ব্যবসায়ীরা কমিশনের ভিত্তিতে পেঁয়াজ বিক্রি করেন। আমদানিকারকরা যে দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বলেন, আড়তদাররা সেই দরে বিক্রি করেন। আড়তদারদের পক্ষে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের দেশে পেঁয়াজের দর বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রশাসনের লোকজন আড়তে অভিযান পরিচালনা করে। এতে আতঙ্ক তৈরি হয়। অথচ আড়তদাররা পেঁয়াজ আমদানি করেন না।
জানা গেছে, আমাদের দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ দিয়ে আগে ৭ মাসের মতো জোগান দেওয়া যেত। বর্তমানে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন বেড়েছে। বলা যায়, এ বছরের পুরোটাই দেশি পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল ছিল দেশের মানুষ। বাজারে সরবরাহ ছিল স্বাভাবিক। এ কারণে দাম বাড়েনি। এরই মধ্যে দেশে মুড়িকাটা পেঁয়াজ কৃষকরা ক্ষেত থেকে তুলতে শুরু করেছেন। কিছু কিছু পেঁয়াজ বাজারে আসছে। ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম আরো কমবে।
চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাশেম বলেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। দেশীয় পেঁয়াজের উৎপাদনও ভালো হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ইতোমধ্যে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে প্রবেশ করেছে। এছাড়া সরকার ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। সব মিলিয়ে দাম কমছে।
ভোক্তারা বলছেন, পেঁয়াজ নিয়ে ব্যবসায়ীদের কারসাজি নতুন কিছু নয়। ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক অজুহাতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করেন। দেশে পেঁয়াজের উচ্চ ফলনের দাম সেভাবে কমেনি। এখন সরকার যে মাত্র আমদানির অনুমতি দিয়েছে, ব্যবসায়ীরা এখন তড়িঘড়ি করে দাম কমিয়ে দিচ্ছেন।
