ডেঙ্গু জ্বর একটি মশাবাহিত ভাইরাল সংক্রমণ। এডিস মশার কামড়ে মানুষ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
এদিকে দেশে দিন দিন বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এতে আতংকিত না হয়ে সচেতন হওয়াটাই শ্রেয়। বাড়ির আশপাশে, ছাদের টবে, চৌবাচ্চায় পানি জমে। এসব জমে থাকা পানিতে জন্মায় ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণু বহনকারী এডিস মশা। সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এডিস মশার বিস্তার থাকে অনেক বেশি। এ সময়টাকে ডেঙ্গুর মৌসুমও বলা হয়। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন জায়গায় পানি জমতে থাকা শুরু করে। এ জমতে থাকা পানিতেই ডেঙ্গু মশা বিস্তার করে থাকে।
বর্ষাকালে ডেঙ্গুর কথা মাথায় রাখতে হবে। যেকোনো জ্বর হলে অবহেলা করা যাবে না। ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই সেরে যায়। তবে পরিস্থিতি জটিল হলে সুস্থ হতে দুই–তিন সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। শুরুতেই সচেতন হলে মৃত্যুঝুঁকি ও অন্যান্য জটিলতা এড়ানো সম্ভব।
ডেঙ্গু প্রতিরোধের মূলমন্ত্র এডিস মশার বিস্তার রোধ করা। ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এ মশা তুলনামূলক পরিষ্কার ও স্বচ্ছ পানিতে বিস্তার করে। বর্ষায় ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকে সবচেয়ে বেশি। এ সময় বাড়ির আশপাশে পানি জমে এমন যায়গা, বদ্ধ জলাশয় পরিষ্কার রাখতে হবে। ফুলের টবে পানি জমতে দেবেন না। অব্যবহৃত কৌটা, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। দিনে ঘুমালে মশারি ব্যবহার করুন বা অ্যারোসল স্প্রে করুন। ডেঙ্গু মৌসুমে বাইরে গেলে হাত–পা ঢেকে থাকে, এমন পোশাক পরুন। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে সব সময় মশারির ভেতরে রাখুন। ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখা দেওয়ার পরপরই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।