বিস্ময়কর এক তর্জনী সেদিন
মানবতাহীন শাসক শোষকের
লালসাময় জলসার আখরায়
নাড়িয়ে দিয়েছিল ভিত!
জ্বালাময়ী ভাষণে যবে
ভূকম্পন বেগে কম্পিত হলো
অত্যাচারীর সুশোভিত মসনদ
কোন সে অগ্নিপুরুষ?
বিষ্ময়ে বিশ্ববাসী
অবাক চেয়ে রয়!
একটি তর্জনীর ইশারায় সেদিন
আপামর বাঙালির হাতে
কাস্তে খুন্তি বটি লাঠি
নাগালেই যার ছিল যা সাথে
প্রিয় হারা দীঘল রজনী, বন্ধুর পথ;
কখনো বন বনানী দুর্গম গিরি
খরস্রোতা নদী জল জলোচ্ছ্বাস।
ওই দূর মেঠো পথে
দুর্বার গতিতে ছুটে চলা
এক ঝাঁক সাহসী জোনাক
গর্জে উঠেছে তর্জনী
দেখো হাকিছে ভবিষ্যৎ
জেগে উঠো দামাল
ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল
দীপ্ত সাহসে হও আগুয়ান
হও তুমি ভীম, ভাসমান মাইন!
সীমানা, প্রহরিহীন একটি ভূখণ্ড,
অ আ ক খ দুঃখিনী বর্ণমালার আত্মহনন;
মা ডাকার আকুল পিয়াসা,
জাতিসত্তা আর স্বাধীনতা শব্দদয় –
ভেংচি কেটেছে যবে বারংবার,
একটি তর্জনী সেদিন কোন সাহসে
সাত কোটি বাঙালির
খুন রাঙ্গা মনে
জাগিয়েছিল দীপ্ত প্রাণ!
আমরা স্বাধীন
আমাদেরও আছে অধিকার,
আছে সবুজের বুকে লাল বৃত্ত –
হায় বাঙালি হায়!
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ তর্জনীর গায়ে
চেয়ে দেখো লেগে আছে
তপ্ত খুনের রাঙ্গা রক্ত!
এই জাতি মুছবে কি দিয়ে পাপ!
কী করে ভুলি সব
আমিও যে উত্তরসূরি
বলো কোথায় গেলে পাই
সেই তর্জনী আজ!