খানহাট-ধোপাছড়ি-বান্দরবান সড়কের মধুছড়া খালের উপর একটি কালভার্টের অভাবে সড়কের সুফল ভোগ করতে পারছে না ধোপাছড়ি ইউনিয়নবাসী। সম্প্রতি দোহাজারী সড়ক বিভাগ ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করে সড়কপথে যাতায়াতের ব্যবস্থা করলেও মধুছড়া খালের উপর একটি বক্স কালভার্টের অভাবে সিএনজিসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। চলতি বর্ষায় বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢলের পানি মধুছড়া খাল দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সড়কের ওই স্থানে ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় মধুছড়া খালের উপর একটি বক্স কালভার্ট নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
জানা যায়, চন্দনাইশ উপজেলার নদী, খাল ও পাহাড় ঘেরা একটি ইউনিয়ন ধোপাছড়ি। এই ইউনিয়নে বাঙালি ও উপজাতি মিলে প্রায় ৩০ হাজার লোকের বসবাস। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও এই ইউনিয়নের মূল যোগাযোগ মাধ্যম হল নদীপথ। এরমধ্যে বিগত কয়েক বছর ধরে এই ইউনিয়নের জনগণ সড়ক যোগাযোগের সুবিধা পায়। তদ্মধ্যে খানহাট-ধোপাছড়ি-বান্দরবান সড়কটি অন্যতম। সম্প্রতি দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগ সড়কটিতে উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করার পর যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসে। কিন্তু চলতি বর্ষায় পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবাহিত হওয়ায় মধুছড়া নামক স্থানে সড়কটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে স্থানীয়ভাবে সড়কের দুই পাশে বাঁশ, গাছে খুঁটি ও বস্তা দিয়ে ভরাট করে যাতায়াত সচল রাখার চেষ্টা করলেও তা স্থায়ী হয় না। প্রতিবার বৃষ্টি হলেই পানি প্রবাহিত হওয়ার সাথে সাথে ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যোগাযোগ। ফলে ধোপাছড়িবাসী সড়ক যোগাযোগের যে সুবিধা পাওয়ার কথা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মধুছড়া খালে একটি ছোট কালভার্টের অভাবে।
৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল জব্বার জানান, সড়কের মধুছড়া খালের পানি সড়কের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে পার হওয়ায় প্রায় সময় সড়কটি ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে আমাদের দুর্ভোগ অনেকাংশে বেড়ে যায়। গাড়িযোগে মধুছড়া খালের পাড়ে এসে হেঁটে পার হতে হয় সড়ক। এসময় ভারী মালামাল থাকলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মধুছড়া খালের উপর একটি ছোট কালভার্ট নির্মাণ করা হলে এ দুর্ভোগ আর থাকবে না। তাই এলাকাবাসী মধুছড়া খালে একটি কালভার্ট নির্মাণের দাবি জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট।
ধোপাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদুল আলীম জানান, মধুছড়া খালের উপর অন্তত একটি ১০ মিটারের বঙ কালভার্ট নির্মাণ করা হলেও এই দুর্ভোগ আর থাকতো না। এতে খানহাট-ধোপাছড়ি-বান্দরবান সড়কের সুফল পুরোপুরি ভোগ করতে পারবে এলাকার জনগণ। এই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আরো জানান, উক্ত সড়কের খানহাট থেকে ছৈয়দাবাদ পর্যন্ত যে আড়াই কিলোমিটার কার্পেটিং করা হয়েছে তাও অনেক স্থানে উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের কার্পেটিং করা অংশেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনগণকে।
দোহাজারী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ জানান, খানহাট-ধোপাছড়ি-বান্দরবান সড়কের মধুছড়া খালের উপর কালভার্ট নির্মাণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ডিজাইন প্রণয়নের পর দ্রুত ওই স্থানে একটি বঙ কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।