গতকাল থেকে শুরু হওয়া মিরপুর টেস্ট ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল সাকিবের টেস্ট। কারণ এই ম্যাচ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তার অজুহাতে সেটা আর হয়ে উঠেনি। তবে ম্যাচ জুড়ে ছিলেন সাকিব। সাকিব ভক্ত আর সাকিব বিরোধীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলেছে আগের দিন থেকেই। গতকাল মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনের নায়ক বলতে হবে তাইজুল ইসলামকে। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার ৫টি উইকেট একাই তুলে নিয়েছেন তিনি। এমনিতেই তাইজুল ইসলামের সঙ্গে সাকিব আল হাসানের নামটা যেন জুড়ে আছে পুরোপুরিভাবে। সাকিব যখন খেলেছেন তখন, অথবা তিনি যখন খেলেননি তখনও। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের পর সংবাদ সম্মেলনেও তেমনই হলো। তাইজুলের সংবাদ সম্মেলনেও ঘুরেফিরে এলেন সাকিব। এদিন দুইশ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি এই স্পিনারের কাছে প্রশ্ন ছিল, সাকিব না থাকা অবস্থায় এখন তারা কীভাবে মানিয়ে নেবেন? তাইজুল তুলে ধরেছেন সেই বাস্তবতা।
তিনি বলেন প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে আপনারা জানতে চাচ্ছেন সাকিব ভাই নাই, তাই তো। সাকিব ভাই ছাড়া যে আমি খেলিনি তা কিন্তু না। আমি থাকা পর্যন্ত অনেক ম্যাচ সাকিব ভাই ছাড়া খেলছি। আমরা নিউজিল্যান্ডে টেস্ট জিতছি। সে ম্যাচেতো সাকিব ভাই ছিলেন না। আমরা যখন নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে দেশের মাটিতে ম্যাচ জিতছি তখনও সাকিব ভাই ছিলেন না। এরকম অনেক উদাহরণ আছে। আসলে আপনিতো একটা খেলোয়াড়কে ৫০ বছর খেলাতে পারবেন না। কখনো একজন আসবে, একজন যাবে। ১০ বছর, ১৫ বছর, খুব বেশি হলে ২০ বছর খেলতে পারবেন। এটা আমাদের মেনে নিতেই হবে। আসলে কোনো সন্দেহ নেই উনি অনেক ভালো খেলোয়াড় ছিলেন। কিন্তু আমরাও দোয়া করবো, আপনারাও দোয়া করবেন উনার মতো যেন আরেকজন আসে বা এখন যারা আছে তারাও যেন ভালো পারফরম্যান্স করে। তাইজুল বলেন আসলে আমাদের দেশে সত্যি কথা বলতে কি, অনেক কিছুই মুখে মুখে হয়। মুখে মুখে বিষয়টা হলো, অনেকে আছে খারাপ করেও অনেক সময় আছে ট্রল হতে হতে তারকা হয়ে গেছে। আবার অনেক ভালো করে তারকা হতে পারেনি। এরকম অনেক হয়েছে। আমি এটা মেনে নিয়েছি। মেনে নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। তবে সাকিবের বিকল্প পাওয়া বেশ কঠিন। কারণ সাকিব মানে দুজন। তার ব্যাটিং কিংবা বোলিং সবকিছুই অসাধারণ। তার সাথে নিজের জুটিটাও বেশ ভাল ছিল বলে মনে করেন তাইজুল। কিন্তু এখন তিনি নেই। তাকে ছাড়াই আমাদের খেলতে হবে। আমরা যারা আছি আমাদের চেষ্টা করতে হবে কিভাবে দলকে এগিয়ে নেওয়া যায়। গতকাল অবশ্য সাকিবকে ছাড়িয়ে গেছেন তাইজুল একটি মাইলফলকে। আর তা হচ্ছে দ্রুততম দুই উইকেট নেওয়া। তবে তাইজুলের লক্ষ্য কিভাবে ম্যাচটাকে নিজেদের অনুকুলে আনা যায়। কারণ গতকাল প্রথম দিনে বাংলাদেশের ব্যাটাররা খুব বাজে পারফরম্যান্স করেছে। অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররাও যে খুব বেশি ভাল করেছে তা কিন্তু নয়। তবে যত কমের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অল আউট করতে পারে ততই ভাল বাংলাদেশের জন্য।