একজনের কিডনি দুইজনের দেহে

দেশে দ্বিতীয়বার অঙ্গদান

| শুক্রবার , ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৭:৩৬ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে দ্বিতীয় বারের মতো ‘ব্রেইন ডেড’ মানুষের কিডনি অন্য মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। মৃত ঘোষণা করা ৩৮ বছর বয়সী একজন পুরুষের কিডনি গতকাল রাতে দুজন কিডনি আক্রান্ত মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়, বর্তমানে দুজনই সুস্থ রয়েছেন।

বিডিনিউজ জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এবং কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে আরেকটি কিডনি প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হয়। অস্ত্রোপচারে সময় লাগে সাড়ে চার ঘণ্টার মতো। বিএসএমএমইউর উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন। ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট পদ্ধতিতে ক্লিনিক্যালি ডেড বা ব্রেইন ডেড রোগীর কিডনি নিয়ে অন্য রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। বিএসএমএমইউ উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ কিডনিদাতা এবং গ্রহীতাদের বিস্তারিত পরিচয় দেননি। তিনি জানান, ৩৮ বছরের একজন পুরুষকে বৃহস্পতিবার ব্রেইন ডেড ঘোষণা করা হয়। তিনি মস্তিষ্কে আঘাতজনিত কারণে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পাঁচদিন আগে আমাদের হাসপাতালে আসেন তিনি। তিনি পুরোপুরি অজ্ঞান ছিলেন। এর আগেও তিনি আমাদের আইসিইউতে ছিলেন। চিকিৎসায় ভালো হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। এবারও পাঁচদিন ছিলেন। আজকে আমরা তাকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করেছি।

গত বছরের ১৯ জানুয়ারি বিএসএমএমইউতে প্রথমবারের মতো একজনের মৃত মানুষের শরীর থেকে কিডনি নিয়ে তা অপর দুজনের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। সারাহ ইসলাম নামে ২০ বছরের এক তরুণীকে গত বছর ১৮ জানুয়ারি ‘ব্রেইন ডেড’ ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সেদিন রাতেই তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় দুজন নারীর শরীরে। সারাহের চোখের কর্নিয়া দেওয়া হয় অপর দুজনকে। সেই কিডনি নিয়ে সুস্থভাবে বেঁচে আছেন শামীমা আক্তার নামে এক নারী। তবে অন্য জনের মৃত্যু হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাতকানিয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধারা পেল উপজেলা প্রশাসনের শীতবস্ত্র
পরবর্তী নিবন্ধচাল মজুতদারদের জেলে দেওয়ার নির্দেশ খাদ্যমন্ত্রীর