এই জো’তে ডিম ছাড়বে মা মাছ? হালদায় অপেক্ষা

কেশব কুমার বড়ুয়া, হাটহাজারী | বুধবার , ২১ মে, ২০২৫ at ৭:৫৬ পূর্বাহ্ণ

প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীতে মাছের আনাগোনা বেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে চলে রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত। তবে এতে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে তাতে নদীতে ঢলের প্রকোপ হয়নি। ঢলের প্রকোপ না হলে এবং নদীর পানি শীতল না হলে মাছ ডিম ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিগত বেশ কিছু দিন যাবত সীমাহীন গরম অনুভূত হচ্ছে। গরমে নদীর পানিও গরম হয়ে উঠেছে। এতে মাঝে মাঝে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হলেও অনুকূল পরিবেশ না পাওয়ায় বিগত তিনটি জোতে মা মাছ ডিম ছাড়েনি। ফলে ডিম আহরণের যাবতীয় প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও ডিম না ছাড়ায় এক প্রকার হতাশায় ভুগছেন আহরণকারীরা।

বিশেষজ্ঞ মহল জানান, হালদা নদীতে মা মাছের ডিম ছাড়ার জন্য বজ্রসহ পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত ও ঢলের প্রয়োজন হয়। বিগত ১৫ এপ্রিল থেকে মাঝে মাঝে বজ্রসহ হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। নদীতে ঢল হওয়ার মত বৃষ্টিপাত হয়নি। আগামী ২৩ মে জো শুরু হবে। চলবে ২৯ মে পর্যন্ত। জো শুরু হওয়ার ৩ দিন আগে থেকে বৃষ্টির আলামত দেখা যাচ্ছে। তাই ডিম সংগ্রহকারীরা আগামী জোতে ডিম ছাড়বে বলে আশাবাদী।

হালদা রিভার্স রিচার্স ল্যাবরেটরির তথ্যানূসারে, বিগত এপ্রিল মাসে আমাবস্যা ও পূর্ণিমার দুইটি জো এবং চলতি মে মাসের ৯ থেকে ১৫ মের একটি জো চলে গেছে। গত এই তিন জোতে বজ্রসহ প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট ঢলে নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ার কথা থাকলেও অনুকূল পরিবেশ না পেয়ে ডিম ছাড়েনি। গত এপ্রিল মাস থেকে ডিম সংগ্রহকারীরা নৌকা ও ডিম আহরণের সরঞ্জাম নিয়ে ডিম সংগ্রহকারীরা প্রস্তুত ছিল। আগামী ২৩ থেকে ২৯ মে আমাবস্যার জো রয়েছে। মঙ্গলবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে এবং এ বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আসন্ন জোতে ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিম সংগ্রহকারীরা। এরপর আগামী জুন মাসে ৮ থেকে ১৪ জুন পূর্ণিমার জো এবং ২১ থেকে ২৭ জুন আমাবস্যা জো রয়েছে। এই তিন জোতেই ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে হালদা রিভার্স রিচার্স ল্যাবরেটরি সূত্র জানায়। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চলতি মাসে একটি তিথি ও জুন মাসে দুইটি তিথিই ডিম সংগ্রহকারীদের ভরসা। এই তিন তিথি/জোর মধ্যে বজ্রসহ প্রবল বর্ষণের ফলে নদীতে ঢলের সৃষ্টি হয়ে পানি ঘোলাটে রূপ ধারণ করে পরিবেশ শীতল হলে মাছ নদীতে ডিম ছাড়বে। চলতি মে মাসের ২য় জোতে ডিম ছাড়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন ডিম সংগ্রহকারীরা। তাই তারা ডিম আহরণের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। ডিম সংগ্রহ করে রেণু ফোটানোর জন্য সরকারি হ্যাচারিগুলোও ইতিমধ্যে উপযোগী করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন সংশ্লিষ্টরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশে স্টারলিংকের সেবা শুরু
পরবর্তী নিবন্ধপুলিশ দেখে গাড়ি থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা, অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২