জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, তিনি ‘এই এনসিপির’ অংশ হচ্ছেন না। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এনসিপির জোট বাঁধার ঘোষণা আসার কয়েক ঘণ্টা পর রোববার রাতে ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘বিদ্যমান বাস্তবতায় আমার জুলাই সহযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান, স্নেহ এবং বন্ধুত্ব মুছে যাবে না। কিন্তু, আমি এই এনসিপির অংশ হচ্ছি না।’ তিনি বলেন, আমাকে জামায়াত–এনসিপি জোট থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়নি, এটা সত্য নয়। কিন্তু ঢাকার কোনো একটা আসনে জামায়াত–এনসিপি জোটের প্রার্থী হওয়ার চেয়ে আমার লং স্টান্ডিং পজিশন ধরে রাখা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। খবর বিডিনিউজের।
রোববার রাতে ‘আমার রাজনৈতিক অবস্থান’ শিরোনামে তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘নাগরিক কমিটি ও এনসিপি জুলাইয়ের সম্মুখসারির নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছিল। এ দুটি সংগঠনে আমার জুলাই সহযোদ্ধারা থাকায় গত দেড় বছর আমি চাহিবামাত্র তাদেরকে পরামর্শ, নির্দেশনা ও পলিসিগত জায়গায় সহযোগিতা করেছি। আমার অবস্থান স্পষ্ট। নূতন রাজনৈতিক–অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক লড়াই, সামাজিক ফ্যাসিবাদ মোকাবেলা, রিকন্সিলিয়েশন, দায়–দরদের সমাজ সহ– অনেক কথাই আমি বলেছি। যেগুলো আমার জুলাই সহযোদ্ধারা উক্ত দুটি সংগঠন থেকে বারবার বলেছেন। কিন্তু, তারা এগুলো ধারণ করতেন? এনসিপিকে একটা বিগ জুলাই আম্ব্রেলা আকারে স্বতন্ত্র উপায়ে দাঁড় করানোর জন্য আমি সকল চেষ্টাই করেছি। কিন্তু, অনেক কারণেই সেটা সম্ভব হয়নি।’ মাহফুজ বলেন, ইতিহাসের এ চলতি পর্বে বাংলাদেশ একটা শীতল যুদ্ধে আছে। এ পর্বে কোনো পক্ষ না নিয়ে নিজেদের বক্তব্য ও নীতিতে অটল থাকাই শ্রেয়। বিকল্প তরুণ/জুলাই শক্তির সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। বরং, আমি গত দেড় বছরে যা বলেছি, যে নীতিতে বিশ্বাস রেখেছি, তা অব্যাহত রাখব। রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সকল উপায়ে। ইফ ইউ কেয়ার টু জয়েন মি, ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম। নূতন রাজনৈতিক–অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত সম্ভব ও বাস্তব। বিকল্প ও মধ্যপন্থী তরুণ/ জুলাই শক্তির উত্থান অত্যাসন্ন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন কিনেছেন মাহফুজ আলম : এদিকে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসসের খবরে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ এলাকা লক্ষ্মীপুর–১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক তথ্য ও সমপ্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। গতকাল বিকালে মাহফুজ আলমের পক্ষে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমানের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। একই আসন থেকে মনোনয়ন কেনেন তার বড় ভাই কেন্দ্রীয় এনসিপির যুগ্ম আহবায়ক মাহবুব আলম মাহির। এই বিষয়ে মাহফুজ আলম কোন স্পষ্ট বার্তা না দিলেও শেষ পর্যন্ত নিজ এলাকা থেকেই তার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়।












