দেশে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিলেও আগের সূচি ধরে ২৬ জুন থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। শিক্ষা বোর্ডগুলোর মোর্চা আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির বলেছেন, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা পেছানোর কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। গতকাল শনিবার বিডিনিউজকে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়লেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগুলো নেবে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। তারা পরীক্ষার্থীদের মাস্ক পড়া, হাত ধোয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো তদারকি করবেন। তবে আমরা পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ করেছি। এখন শুধু পরীক্ষার অপেক্ষা। আমরা যথাসময়ে পরীক্ষার আয়োজন করব। এদিকে সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনাগুলোয় আমরা নজর রাখছি।
এখনও এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই জানিয়ে অধ্যাপক এহসানুল কবির বলেন, সরকারের কাছ থেকে এখনো পরীক্ষা পেছানোর কোনো নির্দেশনা নেই। সেই ধরনের কোনো নির্দেশনা পেলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
সম্প্রতি পাশের দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্টের সংক্রামণ বৃদ্ধি পাওয়ার এবং অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। গত ৪ জুন জারি করা ওই নির্দেশনায় সংক্রমণ প্রতিরোধে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, নাক–মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার, আক্রান্ত ব্যাক্তির থেকে ৩ ফুট দূরে অবস্থান, অপরিষ্কার হাতে নাক–চোখ–মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা এবং হাঁচি কাশির সময় বাহু, টিস্যু বা কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।
শুক্রবার কোভিড–১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে চলতি বছর কোভিডে তিনজনের মৃত্যু হল। এর আগে ৫ জুন একজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চলতি মাসে ৯৭ জন রোগী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এমন বাস্তবতায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা এক মাস পেছানোর দাবি জানিয়েছেন পরীক্ষার্থীরাও। ঢাকা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফাহাদ রহমান বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। এরমধ্যে পরীক্ষা না শুরু করে এক মাস সংক্রমণ পর্যালোচনা করা যেতে পারে। সংক্রমণ না ছডালে এক মাস পর পরীক্ষা শুরু হল। আমাদের ব্যাচের বেশিরভাগ পরীক্ষার্থী আন্দোলনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত। বন্যার কারণেও অনেক জেলার শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়েছে। এর মধ্যে আবার আসছে করোনাভাইরাস। আমাদের দাবি, এব মাস পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হোক।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার যে নির্দেশনা দিয়েছে, সেগুলো পরীক্ষা কেন্দ্রে মেনে চলতে হবে।