২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামীকাল বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে। পরীক্ষার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড। বর্তমানে করোনা ও ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায় বাড়তি সতর্কতা ও কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে বলা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ যাবতীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবার চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ৩০৭টি কলেজের ১ লাখ ২ হাজার ৮৬৯ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। মোট ১১৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করতে ৩০টি সাধারণ ভিজিল্যান্স টিম ও ১০টি বিশেষ ভিজিল্যান্স কাজ করবে। গত বছর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় ২৮৭টি কলেজের অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ৬ হাজার ৩৪ জন শিক্ষার্থী। এবার চট্টগ্রাম মহানগরে পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে ২৭টি। চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোতে রয়েছে ৪২টি। কঙবাজার জেলায় ১৭টি, রাঙামাটি জেলায় ১০টি, খাগড়াছড়ি জেলায় ১০টি এবং বান্দরবান জেলায় রয়েছে ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্র।
চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ইলিয়াছ উদ্দিন আজাদীকে বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার সকল আয়োজন সম্পন্ন। এবার আমরা দুইটা বিষয়ে প্রাধান্য দিচ্ছি। এক হচ্ছে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এটা আমাদের প্রথম এইচএসসি পরীক্ষা। করোনা ও ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছি। শিক্ষার্থীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। কেন্দ্রের প্রবেশমুখে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, কেউ যাতে কোনো প্রকার গুজবে কান না দেয় সে ব্যাপারে সকলের প্রতি আহ্বান থাকল। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এদিকে নকল প্রতিরোধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে নগরের সব পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। পরীক্ষা চলাকালীন এ আদেশ কার্যকর থাকবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৮–এর ২৯, ৩০ ও ৩৩ ধারার ক্ষমতাবলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে থেকে শেষ হওয়ার পরবর্তী এক ঘণ্টা পর্যন্ত পরীক্ষা কেন্দ্রের নির্ধারিত এলাকায় এ আদেশ কার্যকর থাকবে। আদেশের আওতায় আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য, লাঠিসোঁটা বহন, যেকোনো ধরনের সভা, সমাবেশ ও মিছিল, উচ্চৈঃস্বরে চিৎকার বা শব্দ উৎপাদনকারী যন্ত্রের ব্যবহার, অননুমোদিত ও বহিরাগত ব্যক্তিদের কেন্দ্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেউ নির্দেশনা অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিভাবক ও সংশ্লিষ্টদের আইন মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে পরীক্ষার্থীরা একটি নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে পরীক্ষা দিতে পারে।
