কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের লাঘাম টেনে ধরতে প্রথমবারের মতো বড় পদক্ষেপ নিল জাতিসংঘ। মানবাধিকার রক্ষা ও অন্যান্য সম্ভাব্য ঝুঁকির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে এআই নিয়ে প্রথম বৈশ্বিক রেজোলিউশন বা প্রস্তাব পাস করেছে বৈশ্বিক এ সংস্থা। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে এআই বিষয়ে প্রস্তাব পাস করে। খবর বিডিনিউজের।
এ প্রস্তাবের আওতায় বিশ্বের সব দেশকে তাদের ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত রাখতে এবং নির্বাচনে কোনো ব্যক্তির পদ হারানোসহ এআইয়ের ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ার মতো বিপদ এড়াতে বলা হয়। নন–বন্ডিং প্রস্তাবটি প্রথমবারের মতো উত্থাপন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর সঙ্গে সহ–প্রস্তাবক হিসেবে ছিল চীনসহ বিশ্বের আরও ১২০ টির বেশি দেশ। এআই নিয়ে জাতিসংঘের এ প্রস্তাব পাসকে বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস–গ্রিনফিল্ড বলেছেন, আজ, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ১৯৩ জন সদস্য এক সুরে কথা বলেছেন। পাশাপাশি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদেরকে পরিচালনা করার পরিবর্তে, আমরা এআই’কে শাসন করার পথ বেছে নিয়েছি। এদিকে, পরিসংখ্যান বলছে, এআই ব্যবস্থাপনার অনুপযুক্ত বা বিপজ্জনক নকশা, বিভিন্ন উন্নয়ন, স্থাপনা ও ব্যবহারে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, যা মানবাধিকার ও ব্যক্তির মৌলিক স্বাধীনতার সুরক্ষা, প্রচার ও উপভোগকে কমিয়ে আনতে পারে।
গেল নভেম্বর কীভাবে এআই’কে অপব্যবহারের হাত থেকে নিরাপদ রাখা যায় সে সম্পর্কে প্রথমবারের মতো বিস্তারিত আন্তর্জাতিক চুক্তি প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও বিশ্বের ডজন খানেকেরও বেশি দেশ। যেখানে, বিভিন্ন কোম্পানিকে ‘সুরক্ষা ব্যবস্থা সহ’ এআই ব্যবস্থা তৈরি করার জন্য চাপ দেওয়া হয়। প্রস্তাবের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভান বলেছেন, জাতিসংঘে এ প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা করতে প্রায় চার মাস সময় লেগেছে। তবে এ প্রস্তাব বিশ্বকে ‘এআইয়ের বিকাশ ও ভবিষ্যতে এআই ব্যবহারের নানা পদক্ষেপকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য মূলনীতির একটি ভিত্তিরেখা প্রদান করেছে।’