যমজ
ট্রাফিক পোশাকের মুখ দেখেছি
ভাইটিকেও, কতদিন ধরে–
তার চোখদুটো ক্রমে সিগন্যালের হলুদ,
সবুজ থেকে লাল হয়ে শেষে লক্ষ্যভ্রষ্ট
হলো প্রকাশ্যে–সকলের সামনেই
চৌরাস্তায় উর্দিভরা কর্তব্য দেখি
ছোটাছুটি দেখি আর শ্রমের ভেতরে ঘাম
ক্লান্তির দিনে বেশ ঝিমুনি
আছে জাগতিক বাসনার হাতযশ
যমজটি সংসারে বিকারহীন
তার উৎসুক টর্চ শুধু রাতের আকাশে
পথ দেখায়, যত দূরগামী বিমান জাগায়
আদুল খসে পড়ে তাই নিশ্চিন্ত তারা
দুজনের কথা ভেবে
আমরা কূল পাই না
কিনারায় সভ্য কুমির হাঁ বসে;
দুজনের ভালোমন্দ ভাবতে গিয়ে
এদিকে প্রসারিত হচ্ছে জীবনসমগ্র
বারোমাস ঘুরে ফি–বছর
খেলনা হুইসিল পেন্সিল–ব্যাটারির সাথে।
প্রণতি
চাঁদ কেটে এই আলো
আমরা বয়ে এনেছি
গলির শেষ মাথায়
ফেরার পথে জানলাম পাহাড়
আর মেঘহীন সমস্ত আকাশ–
ধীরে ধীরে সাদা হচ্ছে
নিশুতির নিচে চন্দননগরী
কুড়িয়ে এনেছি, শুভ্রতা কয়েক ফালি
মিথ্যের মতো গৌরব
ঘামের লজ্জায় বিজয়ীর হাসি
মাটির পুতুলের কাছে
বাদামকাঠের ঘোড়া–
সকল প্রণতি পায়ে ঠেলে উদাস দাঁড়াল।