কৃষিঋণ, সিএমএসএমই ও ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, চট্টগ্রাম অফিসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সচেতনতামূলক সভা গত শনিবার অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। সভায় গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মোঃ নাছের এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। সভায় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম অফিসের নির্বাহী পরিচালক এবিএম জহুরুল হুদা। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম অফিসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর কোভিড মহামারির সময় যখন দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল তখন দেশের খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতকরণে কৃষকদের ভূমিকা স্মরণ করে দেশের অর্থনীতিতে কৃষি ও সিএমএসএমই খাতের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি উপস্থিত ব্যাংকারদের কৃষি ও সিএমএসএমই ঋণ সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য নির্দেশনা প্রদান করে বলেন, যে কৃষি ও সিএমএসএমই গ্রাহকদের ঋণের জামানতের জন্য ব্যাংকারদেরকে চিন্তা করতে হবে না। কারণ এখন এসব ঋণের বিপরীতে ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক তথা সরকার নিজেই গ্যারান্টি দিচ্ছেন। তাই সময়মতো ও পর্যাপ্ত পরিমাণে কৃষি ও সিএমএসএমই খাতে ঋণ বিতরণ করতে হবে। তাছাড়া, সিএমএসএমই খাতে কম ঋণে অধিক কর্মসৃজনের সম্ভাবনার বিষয়টি তিনি তুলে ধরেন। ঋণ বিতরণে নারী উদ্যোক্তাগণের সাথে কোন প্রকার বৈষম্য করার সুযোগ নেই মর্মে তিনি সকলকে অবহিত করেন। তাছাড়া, ব্যাংকিং খাতের প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট পরিদর্শন করার জন্য কৃষি ও সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তা এবং স্টেকহোল্ডারদের আহ্বান জানান। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক সমপ্রতি চট্টগ্রাম অঞ্চলে তীব্র বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও উদ্যোক্তাদের ঋণসমূহ পুনঃতফসিলিকরণ এবং নতুন করে তাদের মাঝে ঋণ বিতরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি অনুরোধ জানান এবং উপস্থিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আঞ্চলিক প্রধানগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।