ঋণ নিয়ে এনবিআরের সাড়ে ৩৭ হাজার কোটি টাকা পাওনা মেটাচ্ছে পেট্রোবাংলা

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ পাবে ১৪,৭১৩ কোটি টাকা

| বুধবার , ২৬ জুন, ২০২৪ at ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ

অর্থ সংকটে দীর্ঘদিন থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিপুল পাওনা পরিশোধ করতে না পেরে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ঋণ নিচ্ছে পেট্রোবাংলা; এরই মধ্যে তা থেকে পরিশোধ করা হয়েছে ভ্যাটের ৫ হাজার কোটি টাকা।

শুল্ক, ভ্যাট (মূসক) ও আয়কর মিলিয়ে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) কাছে এনবিআরের মোট পাওনা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৩৭ হাজার কোটি টাকা। জ্বালানি আমদানির বিপুল ব্যয় মেটাতে গিয়ে অর্থ সংকটে পড়ায় বকেয়ার এ পরিমাণ দীর্ঘদিন থেকে বেড়েছে। এমন অবস্থায় অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ নিয়ে এনবিআরের বকেয়া পরিশোধ করার কথা বলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার। এর অংশ হিসেবে ভ্যাটের বকেয়া ৫ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করার তথ্য দেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।

সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার ব্যাংক চালানের মাধ্যমে এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) ভ্যাটকে এ টাকা পরিশোধ করা হয়। তবে এ খাতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে কত টাকা ঋণ মিলছে এবং কত বছরের জন্য তা দেওয়া হচ্ছে, সেসবের বিস্তারিত বলেননি পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান। নগদে পরিশোধের বাইরে হিসাব সমন্বয়ের মাধ্যমেও এনবিআরের বকেয়া পরিশোধ করবে পেট্রোবাংলা। সংস্থাগুলোর এক যৌথসভায় গত মে মাসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এনবিআরের তথ্যে দেখা যায়, শুধু ভ্যাটেই বকেয়া ছিল ২২ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০১৭ সালের মার্চ পর্যন্ত বকেয়ার পরিমাণ ১৩ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা। ভ্যাটের বাইরে আয়কর ও আমদানি শুল্ক বাবদ পাওনা রয়েছে আরও ১৪ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে এলএনজি আমদানির শুল্ক হিসেবে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ পেট্রোবাংলার কাছে পাবে ১৪ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা।

অর্থ সংকটে শুধু এনবিআরের বকেয়া নয়, আমদানি করা জ্বালানির বিশেষ করে এলএনজি আমদানির দায়ও মেটাতে পারছে না পেট্রোবাংলা। এ জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ঋণ চাওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) কাছ থেকে ৫০ কোটি টাকা ঋণ নিতে সংস্থাটির উদ্যোগের বিষয়টি খবর এসেছে।

পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ বলেন, জ্বালানি আমদানির দায় মেটাতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ২৫ বছর মেয়াদী ঋণ নেওয়া হচ্ছে।

পেট্রোবাংলা ছাড়াও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) এবং এর বিপননকারী কোম্পানির কাছে এনবিআরের মোট বকেয়া আরও ১৭,২২৬ কোটি টাকা। এরমধ্যে বিপিসির কাছে আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক বাবদ বকেয়া ৬,৮৯৯ কোটি, তিতাস গ্যাসের কাছে ২,২৮৪ কোটি, পদ্মা অয়েলের কাছে ২,১৪৫ কোটি, সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের কাছে ১,৭৩৫ কোটি ও মেঘনা পেট্রোলিয়ামের কাছে বকেয়া ১,০২৮ কোটি টাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআড়তে কোরবানির চামড়া বিক্রি শুরু
পরবর্তী নিবন্ধসৈকতে আছড়ে পড়ছে বিষাক্ত ‘লাল জোয়ার’