চট্টগ্রাম শহরে ব্যবসা করেন মো. ইকবাল হোসেন। তিনি রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সিকদার বাড়ির মৃত শাহ আলমের পুত্র। ইকবালের জাতীয় পরিচয়পত্র নং ১৫১৭৪৬৩৫৫৯১৩৭। সম্প্রতি তিনি ঋণ নিতে গিয়েছিলেন একটি বেসরকারি ব্যাংকে। সাথে ছিল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। কিন্তু ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা অনলাইনে তথ্য যাচাই করতে গিয়ে দেখেন ঋণ আবেদনকারী ইকবাল মৃত। চোখ কপালে ওঠে ইকবালের। ব্যাংক থেকে বেরিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত হওয়ার রহস্য খোঁজার চেষ্টা করেন তিনি। পরে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অরুন উদয় ত্রিপুরার কাছে গেলে তিনি জানান, ২০১৭ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হলে সংশ্লিষ্ট তথ্য যাচাই ফরমে ইকবালকে মৃত দেখানো হয়েছে। খবর নিয়ে জানা যায়, সে সময় ভোটার তালিকা থেকে মৃত ব্যক্তির নাম কর্তন করার দায়িত্ব পালন করেছিলেন স্কুল শিক্ষকরা। ইকবালের এলাকায় দায়িত্বে ছিলেন জামাল উদ্দিন নামের এক শিক্ষক। তাকে ইকবাল সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছিলেন সাইদুল্ল্যাহ নামের এক ব্যক্তি। এরপর স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর নিয়ে ওই শিক্ষক তা জমা করেছেন।
জানা গেছে, জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে ‘মৃত’ অংশটি কর্তন করার জন্য গতকাল উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে যান ইকবাল। হলফনামাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে জমা দিয়েছেন তিনি। নির্বাচনী কর্মকর্তা অরুন উদয় ত্রিপুরা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ইকবাল হোসেনের জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে মৃত শব্দটি কর্তন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জেলা নির্বাচন অফিসের মাধ্যমে ঢাকায় প্রেরণ করা হবে।











