বোয়ালখালীতে হারাধন বিশ্বাস নামের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রায় ২১ লাখ টাকা নিয়ে পরিবারসহ উধাও হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্যাংক ও বিভিন্ন এনজিও থেকে ব্যবসা সূত্রে তিনি এই টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এতে করে ঋণের জামিনদার ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে চাপ দেয়ায় তারা বিপাকে পড়ছেন বলে অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে বোয়ালখালী থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। হারাধন বিশ্বাস বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা ইউনিয়নের ঝুরুমনি বিশ্বাসের বাড়ির মৃত অশ্বিনী বিশ্বাসের ছেলে।
সমপ্রতি মো. সরোয়ার উদ্দীন নামের এক ব্যবসায়ী তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বোয়ালখালী থানায় অভিযোগ করেছেন। তিনি একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড ইছাক মাস্টারের বাড়ির মো. কামাল উদ্দীনের ছেলে। শাকপুরা বাজারে তাঁর কসমেটিঙের ব্যবসা রয়েছে।
ব্যবসায়ী সরোয়ার বলেন, শাকপুরা বাজারে হারাধন বিশ্বাসের নয়ন মেডিকেল হল নামে একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। সেই থেকে আমার সাথে গড়ে ওঠা সম্পর্কের সুবাধে তিনি গত জানুয়ারিতে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, প্রত্যাশী ও পদক্ষেপ নামক এনজিও সংস্থা থেকে ১০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আমাকে সে ঋণের জামিনদার করেন। শুধু আমিই একমাত্র জামিনদার নই; সুনীল শীলকে আট লাখ, শহীদুল ইসলামকে দুই লাখ ও ইস্কান্দার মিয়াকে আশি হাজার টাকার জামিনদার করে বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে তিনি টাকাগুলো ঋণ নিয়েছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ২১ লাখ টাকা নিয়ে গত ২৭ অক্টোবর পরিবারসহ উধাও হয়ে গেছেন। আমরা জামিনদার হওয়ায় এখন ব্যাংক ও এনজিও সংস্থা আমাদের চাপ দিচ্ছে টাকা পরিশোধ করার।
আমতলা শাখার প্রত্যাশীর ম্যানেজার মো. শাহাজাহান বলেন, হারাধন বিশ্বাস গত দুই সপ্তাহ ধরে কোনো ঋণ পরিশোধ করছেন না। আমরা তার জামিনদারদের সাথে কথা বলেছি। তিনি পরিশোধ না করলে জামিনদাররা টাকা পরিশোধ করবেন, অন্যথায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।
এনজিও সংস্থা পদক্ষেপের সহকারী ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর বলেন, তিনি আমাদের এনজিও সংস্থা থেকে ছয় লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন। বর্তমানে পলাতক হওয়ায় এক মাস ধরে ঋণ পরিশোধ হচ্ছে না। তাঁকে খোঁজ করা হচ্ছে। না পেলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক বোয়ালখালী শাখার অপারেশন ম্যানেজার আসাদুল ইসলাম বলেন, তিনি কয়েকমাস আগে আমাদের ব্যাংক থেকে সাত লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন। বর্তমানে পলাতক বিধায় ঋণ পরিশোধ হচ্ছে না। তাঁকে না পেলে আমরা তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করবো।
বোয়ালখালী থানার ওসি গোলাম সরোয়ার বলেন, ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি থানায় অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।