সাতকানিয়ায় আহত অবস্থায় একটি হিমালয়ান শকুন উদ্ধার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের উত্তর কাঞ্চনা এলাকা থেকে শকুনটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত শকুনটি আহত এবং খুব বেশি ক্লান্ত হওয়ায় চিকিৎসার জন্য ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের সাতকানিয়ার মাদার্শা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হোসেন জানান, মঙ্গলবার বিকালে উড়তে উড়তে ক্লান্ত হয়ে শকুনটি উত্তর কাঞ্চনার একটি মাদ্রাসার মাঠে পড়ে যায়। তখন শকুনটি খুব বেশি ক্লান্ত ছিল। এসময় মাদ্রাসার শিক্ষক–শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন শকুনটিকে একটি মুরগি এনে খাওয়ায়। এরপর কিছুটা স্বাভাবিক হয়। পরে রাত হয়ে যাওয়ায় লোকজন শকুনটিকে মাদ্রাসার একটি কক্ষে রেখে আমাদেরকে খবর দেয়। রাত ৯ টার দিকে আমরা ওই মাদ্রাসায় গিয়ে শকুনটি উদ্ধার করে নিয়ে আসি। শকুনটি মূলত খুব বেশি দুর্বল ছিল। এছাড়া উদ্ধারকৃত শকুনের ডান পায়ের থাবার অংশটি নেই। অফিসে আনার পর আমরা একটি মুরগি খাওয়ায় এবং প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করি। পরবর্তীতে রাত ১২ টার দিকে শকুনটি চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জে পাঠিয়ে দিই।
চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী মোহাম্মদ বাহার উদ্দিন জানান, এটি হিমালয়ান গৃধিনী শকুন। এগুলো মূলত হিমালয় এলাকায় থাকে। শীত শুরু হলে ভারত, নেপাল, ভুটান ও তিব্বত অঞ্চলের পাহাড় থেকে দক্ষিণ দিকে নেমে আসে। তখন বাংলাদেশেও দেখা যায়। উদ্ধারকৃত শকুনটি খুবই ক্লান্ত অবস্থায় ছিল। মাদার্শা রেঞ্জের কর্মকর্তারা উদ্ধারের পর আমাদের কাছে পাঠান। আমরা প্রাথমিক পরিচর্যা শেষে চিকিৎসার জন্য শকুনটি ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে প্রেরণ করি। সুস্থ হয়ে উঠার পর এটি অবমুক্ত করা হবে। তিনি আরো জানান, পরিবেশের জন্য শকুন খবই উপকারী। কিন্তু খাদ্য সংকট ও প্রতিকূল পরিবেশসহ নানা কারনে বাংলাদেশ থেকে শকুন প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।












