এ বছর শেষ না হলেও নতুন বছর নিয়ে সতর্ক বার্তা জানিয়ে দিলেন বিজ্ঞানীরা। আগামী বছরের বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রার শীর্ষ তিনে চলে আসতে পারে বলে গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের মেট অফিস। এমনটি শেষবার হয়েছিল ১৮৫০ সালে। আর শীর্ষস্থানে রয়েছে ২০২৪, এরপরেই দ্বিতীয় স্থানে ২০২৩ সাল। ব্যাপক আকারে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো শুরুর করার আগে অর্থাৎ শিল্পায়ন যুগের আগের তুলনায় অন্তত দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস গরম হতে চলেছে এ বছর। ২০২৩ সাল ছিল এক দশমিক ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি গরম। পূর্বাভাস রয়েছে পরের বছর তাপমাত্রা আরও অন্তত এক দশমিক ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং সম্ভবত চলে যেতে পারে এক দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি, যা সবচেয়ে উষ্ণ বছরের তালিকায় ২০২০ সালকে চতুর্থ স্থানে ঠেলে দেবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে স্কাইনিউজ। খবর বিডিনিউজের।
এল নিনো আবহাওয়ার ধরনের প্রভাব ছিল ২০২৩ ও ২০২৪ সালের ওপর। সেটি হ্রাস পেলেও ২০২৫ সাল উষ্ণ হতে চলেছে বলে ধারণা প্রকাশ পেয়েছে। যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অফিস বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেই বছরের গড় তাপমাত্রা বাড়ছে। এছাড়া, প্রাথমিকভাবে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে আসা গ্রিনহাউস গ্যাস জমা হচ্ছে বায়ুমণ্ডলে যা পৃথিবীকে আরও উষ্ণ করছে। এ কারণে, আগামী বছর গরম হবে বলে বিজ্ঞানীরা এরইমধ্যে এ ভবিষ্যদ্বাণী গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করেছেন।
২০২৩/২৪ এর এল নিনো ইভেন্ট সাময়িকভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি করেছে, যা বছরের পর বছর ক্রমবর্ধমান গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ফলে বাড়তি তাপমাত্রায়কে শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে। বলেছেন যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অফিসের অধ্যাপক অ্যাডাম স্কাইফ। তবে, জলবায়ু গবেষকরা অন্যান্য কারণও বিবেচনা করছেন যা তাপমাত্রায় সামপ্রতিক এ বৃদ্ধির জন্য দায়ী হতে পারে বলে যোগ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা পরিসংখ্যান হল বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রার, যা বিশ্বের বিভিন্ন অংশে মাত্রাতিরিক্ত চরম তাপমাত্রার প্রতিফলন নয় বলে উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে। এ কারণেই, বিশ্বব্যাপী গড় তাপমাত্রা বেশি হলেও কিছু অঞ্চলে এখনও শীত বা ঠাণ্ডা অনুভূত হতে পারে। বিশ্বজুড়ে দেশগুলো বৈশ্বিক উষ্ণতাকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বা আদর্শভাবে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এ লক্ষ্য নিয়েই তারা যুগান্তকারী ২০১৫ প্যারিস চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং বার্ষিক কপ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা চলছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে স্কাইনিউজ।