উষ্ণ আবহাওয়া এবং কম বৃষ্টিপাতের কারণে চট্টগ্রামে চা উৎপাদন কমে যাচ্ছে। চা শিল্পের সাথে জড়িতরা বলছেন, চা উৎপাদনের সাথে শীতল আবহাওয়ার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে আবহাওয়া অনেক বেশি উষ্ণ। এছাড়া সময়মতো বৃষ্টিপাত না হওয়ায় চা উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রতি বছর তাপদাহের মাত্রা বাড়ছে। অন্যদিকে দক্ষ শ্রমিক–কর্মকর্তার অভাব এবং প্রতি বছর শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি হচ্ছে। ফলে সিলেট অঞ্চলের প্রতিযোগীদের সাথে টিকতে বেগ পেতে হচ্ছে চট্টগ্রাম অঞ্চলের চা শিল্প মালিকদের। চট্টগ্রামে ২০টির মতো চা বাগান আছে। চা উৎপাদনে অনুকূল আবহাওয়া না থাকায় এখানে চা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী হচ্ছে না। এখানে প্রতি বছর চা উৎপাদন কমছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে চা উৎপাদনের জন্য আদর্শ জায়গা হলো সিলেটের শ্রীমঙ্গল। ওই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হয় বেশি। বৃষ্টিতে চা পাতার কুঁড়ি বের হয়। এছাড়া শ্রীমঙ্গলে তীব্র তাপদাহ থাকে না। চট্টগ্রামে তাপদাহের কারণে চা পাতাও রুক্ষ হয়ে যায়। ফলে পাতার গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব চা দিবস। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২০ সাল থেকে ২১ মে’কে আন্তর্জাতিক চা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। এর আগে ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, মালয়েশিয়া, উগান্ডা, ভারত ও তানজানিয়ায় বিশ্ব চা দিবস উদযাপিত হতো। জানা গেছে, ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দে চীনে বাণিজ্যিকভাবে চায়ের উৎপাদন শুরু হয়। এছাড়া ভারতবর্ষে চায়ের চাষ শুরু হয় ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে। ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশরা সিলেটে সর্বপ্রথম চায়ের গাছ খুঁজে পায়। এরপর ১৮৫৭ সালে সিলেটের মালনীছড়ায় শুরু হয় বাণিজ্যিক চা চাষ।