বই মানুষের মনকে উজ্জীবিত করে। বই আলোকিত মানুষ গড়ে তোলে। বই মানুষকে বিনয়ী বানায়। সভ্য জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে হলে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। কেননা যে জাতি যত বেশি বই পড়ে, সে জাতি তত বেশি সভ্য হয়। নিয়মিত বই পড়লে মস্তিষ্কের ব্যায়াম হয় এবং ব্রেইন সচল হয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে– ‘নিয়মিত বই পড়লে মস্তিষ্কের জটিল কোষগুলো উদ্দীপিত হয় ও স্নায়ুগুলো উজ্জীবিত হয় এবং আলঝাইমার ও ডিমেনশিয়ার মতো মানসিক রোগের প্রক্রিয়া হ্রাস হয়। নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস মানসিক চাপ কমাতে বেশ কার্যকরী। দুশ্চিন্তা, মনের বিষণ্নতা দূর করতে নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বিখ্যাত নাট্যকার ও ঔপন্যাসিক ডাব্লিউ সমারসেট মাঘাম বলেছেন – ‘বই পড়ার অভ্যাস অর্জন করা মানে জীবনের প্রায় সমস্ত দুঃখ–কষ্ট থেকে নিজের জন্য একটি আশ্রয় তৈরি করা।’ বই পড়ার অভ্যাস লেখার দক্ষতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। যে যত বেশি বই পড়বে, সে তত বেশি লেখায় দক্ষতা অর্জন করবে। বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে এবং অন্যদেরকেও বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ করতে আমরা উপহার হিসেবে বইয়ের প্রচলন করতে পারি। আমি মনে করি, উপহারে বইয়ের প্রচলন অন্যকে বই পাঠে আগ্রহী করে তুলবে। তাই আসুন বই পড়ি, সুস্থ–সুন্দর জীবন গড়ি এবং উপহার হিসেবে বইকে প্রাধান্য দেই।
মো. মেহেরাব উল ইসলাম
শিক্ষার্থী,
ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ