বই আমাদের জ্ঞানের সন্ধ্যান দেয়। অন্ধকারের মাঝে আলোকবর্তিকা হয়ে বই অনন্য ভুমিকা পালন করে। বই হচ্ছে জ্ঞানের একটি জীবন্ত ও চলন্ত ট্রেন। যে ট্রেন কখনোই থামে না। সবসময় জ্ঞান বিতরণ ও আহরণের সুযোগ করে দিয়ে যায়। বই আমাদের জীবনের প্রকৃত ও শ্রেষ্ঠতম বন্ধু। বই আমাদেরকে সবসময় পৃথিবী সম্পর্কে নিজেকে উত্তরণের পথ দেখায়। বইপড়াবিহীন মানুষ অজ্ঞতার অন্ধকারে রয়ে গেছে। তাই আমাদের উচিত যেকোন শুভ কাজ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক কিংবা যেকোনো অনুষ্ঠানে উপহার হিসেবে আমরা বই বিনিময় করতে পারি। উপহার হিসেবে আমাদের অর্থের সাশ্রয় হয়। বিশেষ করে ফুল, ক্রেস্ট কিংবা অন্যান্য কিছুর পরিবর্তে আমরা বই উপহার দিতে পারি। এই বইগুলো আবার পাঠশেষে অন্য বন্ধুদেরও হস্তান্তর করা যায়। হস্তান্তর প্রক্রিয়াটা সবসময় চলমান রাখা যায়। এ প্রসঙ্গে দৈনিক আজাদীর সুযোগ্য সম্পাদক একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশবেরণ্য সম্পাদক লায়ন এম.এ.মালেক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রায় সময় একটি আহবান কথা তিনি সকল আয়োজকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন। ‘আমাকে ফুল না দিয়ে বই উপহার দিলে আমি খুবই আনন্দিত হই। এতে করে আমার জানার পরিধি বাড়ার সুযোগ হয়’। তিনি প্রায়শ বলে থাকেন, ‘ফুলেল ভালোবাসা অবশ্যই সম্মানের। কিন্তু কয়েকদিন পর ফুলটি নষ্ট বা ফেলে দিতে হয়। অন্যদিকে বই উপহার দিলে সেটি যুগ যুগ থেকে যায়। এমনকি এটি একের অধিকজন যেকোন সময় পড়তে পারে। জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগ পায়। বই আমাদেরকে আরো দৃঢ় বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে’। তিনি একইসাথে আরো একটি কথা বলে থাকেন, ‘যেকোনো বিবাহ, মেজবান ভোজসভা কিংবা যেকোনো আয়োজনের একটি অংশ যদি কম খরচ করে সমাজের দরিদ্রদের জন্য ব্যয় করি তাহলে আমাদের একটি বিশাল মানবসেবা নিশ্চিত হয়’। বই আমাদের জীবন চলার পথে, আমাদের সার্বক্ষণিক সঙ্গী হিসেবে, অবসর জীবনের বিশ্বস্ত পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে। বইপড়ার অভ্যাসই পারে বইয়ের গুরুত্ব বাড়াতে। আসুন আমরা প্রিয়জন, আলোকিত গুণীজনদের বই উপহার প্রদান করি। আসুন আমরা নিজেরা বই পড়ি, অন্যকে বই পড়াতে উৎসাহিত করি। বই হোক আমাদের জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার, সর্বশ্রেষ্ঠ বন্ধু। আমাদের সকল আয়োজনে উপহারের তালিকায় বই হোক সেরা পছন্দের। জয় হোক বইয়ের, জয় হোক জ্ঞানের, জয় হোক সত্যের।












