কিছু কিছু মানুষের এত এত ইগো কাজ করে যে, তারা সুন্দর সম্পর্ক, সুন্দর বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, প্রেম সবই হারিয়ে ফেলে। বেশি বেশি দাম দেখাতে গিয়ে নিজের দামটা যে কখন কমে আসে তা বুঝতে পারে না। ধৈর্যের ফল মিঠা হয়। প্রচলিত কথা। কিন্তু অতিরিক্ত ধৈর্যের ফলে ফল পচে ও যায়। সম্পর্কে চিড় ধরে। সময়ের পরিক্রমায় চিড় ধরা সম্পর্কের মিলন হলেও আগের মত টান আর থাকে না। কেননা সময়ের সাথে সাথে নতুন পরিবেশ তৈরি হয়ে যায়। তাই পুরনো পরিবেশের অনেক ঘুন ধরে যায়। অনেক হিসেব সহজও হয়ে যায়। সম্পর্ক তৈরি করতে একজন এগিয়ে আসে। সুন্দর চলতেও থাকে। কিন্তু মাঝপথে এসে যদি ভাবনার দ্বার খুলে যায় তবে এগিয়ে আসা মানুষটা কনফিউজড হয়ে পড়ে। তাই প্রথম থেকেই সম্পর্কের ভাও বুঝে নিলে এ ঝামেলা আর হয় না। সুন্দর বন্ধুত্বের পতনও হয় না। দেখি না কী হয়। পরে দেখা যাবে। এ ধৈর্যের ফলে অপর পক্ষের মরণও হতে পারে। তাই যে কোনো সর্ম্পক তৈরি হতেই একটু ভবিষ্যৎ দেখে নিতে হয়। আমি কী চাই? সে কী চাই? কী হতে পারে? কেন চাই? এসব ভাবনা মাথায় রেখে এগুতে হয়। তাহলে আর রক্তক্ষরণ হয় না মস্তিষ্কের। কিংবা নিজেকে ও অন্যকে দোষারোপ দেয়ার দরকার হয় না। সময়ে সাধন লাগে। অসময়ে সাধন হয় না। ভুল বুঝাবুঝির অবসান হয়। সম্পর্ক তৈরি হয় সহজে। এটার চর্চার দরকার আছে। না হলে একটা সময় তা বিলীন হয়। অপর মানুষটাকেও বুঝতে হয়। ছাড় দিতে হয়। ইগো ধমিয়ে দেখতে হয়। সে আসলেই পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য তৈরি কিনা। যদি অহংকার আসে নিজের মধ্যে আমি কম কী? আমি কেন? সে নয় কেন? সেক্ষেত্রে অতীতের ঘটনা দেখে বিচার করা বিবেচ্য। আমি যদি এতদিনের সম্পর্কে তাকে না বুঝি সেটা ব্যর্থতা বৈকি। সুন্দর সম্পর্কের জয় হোক, বন্ধুত্বের জয় হোক, ভালোবাসা বেঁচে থাক।