দেশের অন্তত ১০টি জেলা জুড়ে চলমান ভয়াবহ বন্যায় দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকল উপদেষ্টাকে আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, কেবিনেট মিটিং হয়েছে বন্যা নিয়ে। আমি সেখানে ছিলাম। সেখানে এক্সটেনসিভ ডিসকাশন হয়েছে। সেখানে স্যার সবাইকে বলেছেন যে, বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ান। অলরেডি আপনারা সবাই জানবেন যে, ত্রাণ এবং দুর্যোগ মন্ত্রণালয় যিনি দেখেন, ফারুক–ই–আজম, উনি উনার সেক্রেটারিসহ অলরেডি ফেনীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। উনারা সেখান থেকে দেখবেন। আরও অনেক অ্যাডভাইজার যাবেন।
প্রেস সচিব বলেন, আমরা জেনেছি ১০টি জেলায় ৩৬ লাখের বেশি মানুষ বন্যা কবলিত। এই ৩৬ লক্ষ লোকের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর চ্যালেঞ্জ আমরা নিয়েছি। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন যে কোথায় কী হচ্ছে, কোথায় কী করা যায়। এখন পর্যন্ত দুইজন মারা গেছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এখনও আমাদের কাছে মিসিংয়ের কোনো ফিগার নাই।
বন্যার মূল কারণ ভারি বৃষ্টিপাত উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, বন্যা নিয়ে অনেকগুলো রিপোর্ট এসেছে। আমি বলব, এটার মূল যে জিনিসটা, আমি ওয়েদার অফিস এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি, মূল জিনিসটা হচ্ছে কয়েক দশকের মধ্যে এটা সবচেয়ে সাসটেইনেবল রেইনফল ছিল। যেটা ১৬ তারিখে শুরু হয়েছে, আজকেও আছে, কালকেও হবে এবং আবহাওয়া কর্মকর্তাদের কথা অনুযায়ী, পরশু দিন থেকে একটু বৃষ্টি কমবে। ২৬ তারিখের মধ্যে বৃষ্টিটা কমে যাওয়ার কথা। তিনি বলেন, অনেকগুলো কারণ উঠে এসেছে বন্যা হওয়ার। তার মধ্যে আরেকটি কারণ হচ্ছে, ওই এলাকায় (ফেনী) বন্যা কিন্তু খুব কম হয়। ফলে, ওই এলাকায় নদীগুলো একদম সিল্টেড (ভরাট) হয়ে গেছে। পুকুর–টুকুর যেগুলো আছে, সেগুলোও সিল্টেড। পুরো পানিটা দ্রুত নেমে অনেকগুলো জায়গা কবলিত হয়েছে। এর আগে সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে চলমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা নিয়ে আলোচনা হয়।