লোহাগাড়ায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নামজুল মোস্তফা অমিন ও সদস্য সচিব সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরীসহ ১৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত শনিবার রাত ১১টায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি একেএম আসিফুর রহমান চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এতে ১৫০–১৭০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। গত শনিবার রাত ৮টার দিকে সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের লিচু মিয়াজির ঘাটা এলাকায় সড়কে এ ঘটনা ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কয়েকজন নেতাকর্মী নিয়ে সিএনজি টেঙিযোগে কলাউজান ইউনিয়ন যুবলীগের সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে উপজেলা সদরের বটতলী স্টেশনে আসছিলেন। এ সময় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের নেতৃত্বে ১৫০–১৭০ জন লোক বর্তমান সরকারের পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দিয়ে মিছিল সহকারে আমিরাবাদ থেকে কলাউজান ইউনিয়নের দিকে যাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে টেঙিতে তাদেরকে দেখে মিছিলে থাকা লোকজন গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে তাদেরকে টেঙি থেকে এলোপাতাড়ি কিল–ঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় কয়েকটি ককটেলও বিস্ফোরণ করেন তারা। পরে তাদের হাত থেকে পালিয়ে ৯৯৯–এ ফোন করলে পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে।
লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন বলেন, শনিবার তিনি চট্টগ্রাম শহরে ছিলেন। এছাড়া ওইদিন উপজেলায় কোনো মিছিল কিংবা মিটিংয়ের কর্মসূচিও ছিল না। বিএনপির ন্যায্য দাবির আন্দোলন দমিয়ে রাখার জন্য তাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করা হয়েছে।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৯ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে মামলা রুজু করা হয়। এ ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে ৪টি বিস্ফোরিত ককটেল ও ৩টি অবিস্ফোরিত ককটেলের উপাদান উদ্ধার করা হয়েছে।