বাঁশখালী উপজেলা ও জলদী ভূমি অফিস একই জায়গায় অবস্থিত তাই প্রতিদিন এ অফিসে লোকে লোকারন্য থাকে। তার সাথে তাকে নানা শ্রেনীর দেনদরবারি লোকজন। সম্প্রতি বাঁশখালী উপজেলা ভূমি অফিস আধুনিক ডিজাইনে করা হয়েছে তিন তলা ভবন। সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীর রুমটি এসি আধুনিক ডিজাইনে সদৃশ্য। কিন্তু তিনি অফিসের কার্যক্রম করেন অফিসের বারান্দায় খোলা জায়গায়। প্রেক্ষাপট ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা জনগনকে যেন তিনি সরাসরি দেখতে পান এবং তারা যেন কারো কাছে হয়রানি শিকার হতে না হয়। তেমনি গতকাল মঙ্গলবার ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা যায় অফিসের বারান্দায় অফিস করছেন সহকারি কমিশনার (ভুমি) মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী। পাশে অফিসের সকল দায়িত্বশীলরা আর সামনে চেয়ার নিয়ে বসে আছেন ভূমি অফিসে আসা লোকজন। তাদের একজন নুর মিয়া সিকদার। তিনি এসেছেন নামজারি করতে। প্রয়োজনীয় কাগপত্র জমা দেওয়ার পর বললেন সপ্তাহ পরে এসে নামজারির ডকুমেন্ট নিয়ে যেতে সাথে অফিসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিলেন। এলেন মুক্তিযোদ্ধা আহমদ ছফা একটা খতিয়ানের ভুল সংশোধন করতে তা ও ৫ মিনিটের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগপত্র জমা দেওয়া পরে এসে খতিয়ান নিয়ে যাওয়ার তারিখ দিলেন।
এলেন জয়া ও তার স্বামী বাসু, তাদের সমস্যা তাদের জায়গা অপর ভাই নামজারি করে নিতে চায়। বললেন একটা আবেদন দেন যাতে সে যখন আসে তখন যেন একক ভাবে নাম জারি করতে না পারে এসব সহ কয়েক ঘন্টার মধ্যে প্রায় ১১ টি মিস মামলার নিস্পত্তির পাশাপাশি সাধারন জনগনকে যে কোন সময় কোন দালাল ছাড়া নিজে এসে কাজ করার আহবান জানালেন তিনি। এ দৃশ্যপট উপস্থিত সাধারন জনগনের মাঝে আশার আলো দেখালো ও তা কতদিন চলবে তা নিয়ে প্রশ্ন। এ ব্যাপারে বাঁশখালী সহকারি কমিশনার (ভুমি) মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সরকার আমাকে আধুনিক অফিস ও সকল সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে জনগনের যথাযথ কাজ বাস্তবায়নের জন্য। সে দায়িত্ব আমি যদি যথাযথ ভাবে পালন না করি তাহলে আমাকে জবাব দিহি করতে হবে। অফিসের ভিতরে বসে সবাইকে দেখা যায়না তাই আমি বারান্দায় বসে এ কাজ চালাচ্ছি মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে। তিনি ভূমি সেবা পেতে কোন ধরনের দালাল না ধরে নিজে অফিসে এসে প্রয়োজনীয় কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।












