বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির স্থায়ী পরিষদের সভাপতি জসিম উদদীন চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন–চট্টগ্রামের দুঃখ জলাবদ্ধতা সমস্যা থেকে চট্টগ্রামবাসী কোনোভাবেই পরিত্রাণ পাচ্ছে না। চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের আন্দোলন–সংগ্রামের ফলশ্রুতিতে সরকারের পক্ষ থেকে এতদসংক্রান্ত মেগা প্রকল্প বরাদ্দ পেলেও তা অদ্যাবধি সেই তিমিরেই রয়ে গেছে।
উন্নয়ন সংস্থার সমন্বয়হীনতা ও প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা জলাবদ্ধতা নিরসনে অন্যতম অন্তরায় বলে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন–কর্ণফুলি নদীর নাব্যতা রক্ষায় নিয়মিত ড্রেজিংয়ের আবশ্যকীয়তা থাকলেও বরাবরই তা উপেক্ষিত।
গতকাল রবিবার বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির স্থায়ী পরিষদের এক সভায় তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। জসিম উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দৈনিক পূর্বকোণ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কার্য নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ডা. শেখ শফিউল আজম, স্থায়ী পরিষদের সহ সভাপতি এস এম নুরুল হক, মহাসচিব এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর, লায়ন মুহাম্মদ নুরুল আলম। উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ ইব্রাহিম, এডভোকেট ফয়েজুর রহমান বেলাল, হায়দার হোসেন বাদল, ডা. হানিফ খান জিলানী প্রমুখ। সভায় কার্যকরি পরিষদের সভাপতি ডা. শেখ শফিউল আজম বলেন–সমপ্রতি চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ডেঙ্গু এক মহামারি আকার ধারণ করেছে।
ডেঙ্গুর অবাঞ্ছিত শিকার হয়ে ইতোমধ্যে অসংখ্য মানুষের প্রাণসংহার ঘটেছে। সর্বত্র ডেঙ্গুর জীবানু বহনকারী মশার আশংকাজনক বিস্তার ঘটেছে। যা থেকে চট্টগ্রামও বাদ যায়নি। চট্টগ্রামের একাধিক স্থানে ডেঙ্গুর লাভার খোঁজ মিলেছে। তাই নগরীসহ চট্টগ্রামকে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা থেকে সুরক্ষায় কার্যকর ও বলিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
মহাসচিব এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর বলেন– এয়ারপোর্ট হতে লালখান বাজার পর্যন্ত নির্মানাধীন এলিভেটেড এঙপ্রেস ওয়ে নির্মাই কাজ সমাপ্ত হতে চললেও অদ্যাবধি আগ্রাবাদ বাদামতলী, স্ট্যান্ড রোড, রশিদ বিল্ডিং মুখী, নিমতলা পোর্ট কানেক্টিং রোড, বন্দর ইপিজেড ও নারিকেল তলা সিমেন্ট ক্রসিং উঠানামার র্যাম্পের কাজ এখনো নজরে আসছে না। আর যদি এসব র্যাম্প বাদ দিয়ে এঙপ্রেস ওয়ের কাজ সমাপ্ত হয় তাহলে নগরবাসীর ভোগান্তির অন্ত থাকবে না।












