উন্নয়ন কাজের সব তথ্য জানাতে হবে জেলা প্রশাসনকে

রমজানের জন্য উপজেলায় ৩০ ও নগরে ১০টি মোবাইল কোর্ট টিম জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২০ মার্চ, ২০২৩ at ৫:১৩ পূর্বাহ্ণ

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, সরকারের প্রত্যেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আরও দৃশ্যমান করতে এখন থেকে সকল দপ্তর ও সংস্থার উন্নয়ন বরাদ্দ, কাজের অগ্রগতি, বাস্তবায়ন ও বাস্তবায়নের হার ছবিসহ এক সপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে হবে। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করেছে।

গতকাল সকালে সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে উপজেলা পর্যায়ে ৩০টি ও নগরীতে ১০টি মোবাইল কোর্ট টিম কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক বলেন, এ সরকারের আমলে মেগা প্রকল্পসহ দেশের প্রত্যেকটি বড়ছোট প্রকল্পের কাজ দৃশ্যমান। সরকারের চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ যাতে নিম্নমানের না হয় সে ব্যাপারে তদারকি বৃদ্ধি করে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য সমন্বয় সভায় এসব বিষয়ে আলোকপাত করতে হবে। সরকার কোথায় কি উন্নয়ন করছে সেগুলোর ব্যাপক প্রচারপ্রচারণা চালাতে হবে।

পটিয়ার সালেহ নূর ডিগ্রি কলেজ, ফটিকছড়ির শামসুল ও গর্জনিয়া মাদ্রাসাসহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক নিম্নমানের কাজ হওয়ায় এক বছরের ব্যবধানে ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে। উপজেলা চেয়ারম্যানদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক বলেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে কাজের মান ভালো না হলে লোক দেখানো কাজের প্রয়োজন নেই। গাছতলায় বসে পড়লে আরও ভালো। শিক্ষা প্রকৌশল বা ফ্যাসিলিটিটিজ ডিপার্টমেন্টের ১৮টি কাজের তালিকা, কোন উপজেলায় কোন প্রতিষ্ঠান, কোন অর্থবছরে কাজের অগ্রগতি কতটুকু তার ছবিসহ জেলা প্রশাসককে জানাতে হবে। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদেরকেও এ ব্যাপারে অবহিত করতে হবে।

পরিবার পরিকল্পনা, প্রাণিসম্পদ, সমাজসেবা, পরিবেশ অধিদপ্তর, মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর, বিসিক, কৃষি সম্প্রসারণ, জেলা ক্রীড়া, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের যে সকল উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান সেগুলো যাতে দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্মত হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে আরও আন্তরিক হতে হবে। নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলো করতে হবে। জেলা পরিষদ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে যে প্রকল্পগুলো উপজেলায় যাচ্ছে সেগুলোর গুণগত মান ঠিক রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে চট্টগ্রামে জিরো হোম ডেলিভারি নিশ্চিতসহ মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যে সকল সরকারি সম্পত্তি বেদখল হয়েছে সেগুলো তালিকা করে পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মু. মাহমুদ উল্লাহ মারূফের সঞ্চালনায় সভায় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) রাকিব হাসান, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার একেএম সরোয়ার কামাল দুলু, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাদায় পিচ্ছিল সড়কে দুর্ঘটনা
পরবর্তী নিবন্ধস্ত্রীকে খুন করে লাশ ঝুলানো হয় গাছে, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড