উন্নয়নের ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য এসেছে তাঁর হাতেই

| বুধবার , ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৬:১৮ পূর্বাহ্ণ

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী ব্যক্তি হিসেবেও পরিগণিত। ২০২০ সালে ফোর্বস সাময়িকী একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় তাঁর অবস্থান ছিল ৩৯তম, ২০১৯ সালে তার অবস্থান ছিল ২৯তম, ২০১৮ সালে ২৬তম এবং ২০১৭ সালে ৩০তম। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ফরেইন পলিসি নামক সাময়িকীর করা বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০০ বৈশ্বিক চিন্তাবিদদের তালিকায় শেখ হাসিনা জায়গা করে নিয়েছেন।
শেখ হাসিনা এখন বাংলাদেশের মর্যাদার প্রতীক। তিনি আজ সারা পৃথিবীতে সফলতার উজ্জ্বল উদাহরণ। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ পৃথিবীতে জায়গা করে নিয়েছে মর্যাদার অনন্য আসনে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার মূল চাবিকাঠি যাঁর হাতে, তিনি হলেন শেখ হাসিনা।
আকাশচুম্বি চ্যালেঞ্জ আর একের পর এক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে তিনি ছুটে চলেছেন তাঁর কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে। রচনা করে চলেছেন অগ্রগতির নতুন মাইলফলক। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন সাফল্য-গাথা।
অর্থনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্য নিরাপত্তা, সমুদ্র বিজয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতের অগ্রগতি, শান্তি চুক্তি, নারীর ক্ষমতায়ন, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার, অর্থনৈতিক উন্নতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য এসেছে। বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলো বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীনের সাথে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন। জঙ্গিবাদের কারণে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তান সংকটে রয়েছে সেখানে জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিস্ময় সাফল্য দেখিয়েছেন।’ তাঁর একক সিদ্ধান্তে ও পরিচালনায় নির্মিত হয়েছে গৌরবের প্রতীক পদ্মা সেতু। মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেলসহ দেশের চলমান আরো কয়েকটি মেগা প্রজেক্ট জনগণের জন্য উন্মুক্ত হলে দেশে আরো দ্রুত উন্নয়নের জোয়ার বইবে এবং জনগণের জীবন যাত্রার মান বাড়বে বলে সকলের মতো আমরাও আশাবাদী। বলা যায়, উন্নয়নের ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য এসেছে তাঁর হাতেই।
দীর্ঘ সময় ধরে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য বড় চ্যালেঞ্জের বছর ছিলো ২০২০ সাল। বৈশ্বিক মহামারি করোনাকে সাফল্যের সঙ্গে মোকাবেলা করে তিনি বিশ্বে অনন্য খ্যাতি লাভ করেছেন। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশে যখন করোনা-সংকটে নানা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়, তখন তা মোকাবেলায় দ্রুত নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন শেখ হাসিনা। অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে সে-সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক লাখ ১২ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকার ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। তাঁর আরেক সাফল্য বা বড় অর্জন হলো বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া। দেশের যেমন ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, তেমনি প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে। এক সময় বাংলাদেশকে বলা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি। যারা সে সময় তলাবিহীন ঝুড়ি বলতো, আজ তারাই দেশের উন্নয়ন নিয়ে প্রশংসা করেন। এটা সামগ্রিকভাবে শেখ হাসিনার অর্জন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, বাংলাদেশকে ঈর্ষান্বিত সাফল্য এনে দেয়ায় রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা কুড়িয়েছেন বেশকিছু আন্তর্জাতিক পুরস্কার। এর মধ্যে রয়েছে- ২০১৪ সালে শিক্ষা খাতের উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ সম্মাননা, ২০১৫ সালে দারিদ্র্য বিমোচনে ‘সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড’, পরিবেশ রক্ষা জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার, আইসিটি খাতের উন্নয়নের জন্য ‘আইটিইউ অ্যাওয়ার্ড’, ২০১৬ সালে জাতিসংঘের ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’, ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ পুরস্কার, ২০১৮ সালে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ‘গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড এবং মানবতায় দৃষ্টান্ত দেখিয়ে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ খেতাবে ভূষিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২১ সালে জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা ও সবার জন্য শান্তি-সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে উদ্যোগ গ্রহণের সর্বজনীন আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের সঠিক পথে এগিয়ে নেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ দেয়া হয়েছে।
আসলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা কয়েক বছর ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। এই সরকারের সাফল্যে অনেক গুণগান লিপিবদ্ধ হয়েছে। তবে এই ঈর্ষণীয় সাফল্যের সঙ্গে বাড়ছে চ্যালেঞ্জও। বাড়ছে ঝুঁকিও। সফলতার সঙ্গে দুষ্কৃতি মহলও নানারকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তার পরও বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা থেমে থাকার মানুষ নন। তাঁর নেতৃত্বে একের পর এক রচিত হচ্ছে উন্নয়নের সাফল্যগাথা। এই মহাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকবেন তিনি। পঁচাত্তর বছর পূর্তিতে তাঁকে অভিনন্দন জানাই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৭৮৬
পরবর্তী নিবন্ধএই দিনে