উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় নগরবাসীকে অংশ নেওয়ার আহ্বান মেয়রের

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৯ নভেম্বর, ২০২৪ at ৪:২৭ পূর্বাহ্ণ

শহরের যেকোনো সমস্যায় নগরবাসীর পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এ সময় চট্টগ্রামকে ক্লিন, গ্রিন এবং হেলদি সিটিতে রূপান্তরে নগরবাসীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করে বলেন, আমাদের সবাইকে মিলে চট্টগ্রামকে একটি সবুজ শহরে পরিণত করতে হবে। এর অর্থ শুধু গাছ লাগানোই নয়, বরং আমাদের আশেপাশে পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা এবং ডেঙ্গু জাতীয় রোগ প্রতিরোধ করাও। এসময় সিটি কর্পোরেশনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চান জানিয়ে নগরবাসীকে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ নেয়ার আহ্বান জানান মেয়র। এছাড়া কোথাও এবং কোনো অনিয়ম লক্ষ্য করলে তা সরাসরি মেয়রকে জানাতে বলেন। তিনি গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ খুলশী সিটি কর্পোরেশন ভিআইপি হাউজিং সোসাইটি জামে মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করার পর স্থানীয় জনগণের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। দক্ষিণ খুলশী চসিক জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. ইকবাল এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ‘ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট সেল চালু’সহ নানা পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি জনগণের সহায়তা চেয়েছেন মেয়র। তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে মেমন হাসপাতালকে ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট সেল হিসেবে ঘোষণা করেছি। সেখানে কারো ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শক্রমে বিনামূল্যে এনএস ১ অ্যান্টিজেন টেস্ট করাতে পারবেন। আক্রান্তদের সেবা দিতে প্রস্তুত আছেন আমাদের চিকিৎসকরা।

মেয়র বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিভিন্ন ওয়ার্ডে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম চালু করা হয়েছে এবং মশার লার্ভা ধ্বংস করতে স্প্রে ব্যবহার করা হচ্ছে। এডিস মশার বিস্তার রোধে নগরবাসীর সহায়তার প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশার লার্ভা জন্মায়, যা ডেঙ্গু বিস্তারের জন্য দায়ী। এজন্য বাড়ির ছাদে বা বারান্দায় ফুলের টব বা পানির টব খালি রাখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে গাফেলতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে মেয়র বলেন, পরিচ্ছন্নকর্মীদের দৈনিক কাজের মনিটরিং করা হচ্ছে। এখন থেকে রাতে ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিচালিত হবে; যাতে দিনের বেলায় নাগরিকদের ভোগান্তি কম হয়।

শাহাদাত বলেন, চট্টগ্রামের একটি বিশ্বমানের পর্যটন শহর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য পর্যটনখাতের বিকাশ আমার অন্যতম লক্ষ্য। আমাদের পরিবেশ রক্ষা করে এবং অবকাঠামো উন্নয়ন করে আমরা আরও বেশি পর্যটক আকর্ষণ করতে পারব এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শুধু আমার নয়, এটি ৭০ লক্ষ মানুষের শহর। এই শহরের উন্নয়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। পাহাড় কাটা বন্ধে সবার সচেতনতা এবং পর্যটন শিল্পের বিকাশে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলা প্রয়োজন। আমাদের পাহাড় ও সমুদ্র রক্ষা করে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আকৃষ্ট করার সুযোগ রয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা একরামুল করিম, এম এ আজিজ, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, গাজী সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, ড্যাব নেতা ডা. বেলায়ত হোসেন ঢালী ও ডা. সরওয়ার আলম, দক্ষিণ খুলশী সিটি কর্পোরেশন ভিআইপি হাউজিং সোসাইটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে শাহেদ সরোয়ার, সৈয়দ মোরশেদ আলম, রেজাউল করিম আজাদ, আনোয়ারুল ইসলাম, প্রকৌশলী ফয়েজুল ইসলাম, ডা. মো. জাহাঙ্গীর।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঋণের ২১ লাখ টাকা নিয়ে পরিবারসহ উধাও ব্যবসায়ী
পরবর্তী নিবন্ধসতর্ক থাকলে অন্তর্বর্তী সরকার জনপ্রত্যাশা পূরণে মনোযোগী হবে : তারেক