ডাক্তার সাহেব আসার পূর্বে ওষুধ কোম্পানির এসআর–গণ এসে হাজির। ডাক্তার আসিল, রোগীদের আগে এসআর–গণ এক এক করে সাক্ষাৎ করলেন। ডাক্তার সাহেবকে নানা উপহার দিয়ে আসলেন। অতঃপর রোগী দেখা শুরু করলেন ডাক্তার সাহেব। ডাক্তার সাহেবের চেম্বার থেকে রোগী বেরুলেই আবার এসআর–গণ প্রেসক্রিপশনের ছবি তোলার চেষ্টায় আছেন। এই বাজে পরিস্থিতিতে বেশির ভাগ মানুষ অস্বস্তি বোধ করেন।
অবশেষে রোগী নিয়ে চেম্বারে ঢুকলেও ডাক্তার সাহেবকে প্রশ্ন করা হয়নি – রোগী আগে নাকি এসআর আগে? জিজ্ঞেস করিনি, কারণ সম্মানিত ডাক্তার সাহেব গোস্বা হতে পারেন এতে।
কারণ,এটাই বাংলাদেশের সিস্টেম। তবে এই সিস্টেম সাধারণ মানুষ পছন্দ করেন না। বিষয়টা কি যথাযথ কর্তৃপক্ষ বোঝেন না? হয়ত বোঝেন, হয়ত বোঝেন না। না–বোঝলে বোঝতে হবে। এবং এই বাজে সিস্টেম বদলাতে হবে। ওষুধ কোম্পানির নতুন পুরাতন ওষুধের নাম ও গুণাগুণ ডাক্তার সাহেবদের কাছে পৌঁছাতে হবে এটা ঠিক। না–হলে ডাক্তার সাহেব জানবেন কীভাবে কোন কোম্পানির কোন ওষুধ আছে ; নতুন কী কী ওষুধ বাজারে এসেছে। ওষুধের তথ্য ডাক্তার সাহেবদের কাছে ভিন্ন/ নতুন কোন উপায়ে পৌঁছানো যায় সে উদ্যোগ নেওয়া জরুরি মনে করি।
শুধু আমি নই, বাংলাদেশের অধিকাংশ রোগী ও রোগীর স্বজন একই মত দিবেন বলে আমার বিশ্বাস। উপজেলা পর্যায়ে সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেঙেও দেখেছি, সকাল সকাল ডাক্তার আসার পূর্বে এসআর সাহেবেরা এসে হাসাপাতালের মূল প্রবেশমুখে দলে–দলে গল্পগুজব করেন। এ–বিষয়ে এসআর বা ডাক্তার সাহেবের দোষ বলছি না। আসলেই সিস্টেমেই গলদ। তাই সিস্টেম বদলানো প্রয়োজন। এ–ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা কর্তৃপক্ষের বোধোদয় হলেই মঙ্গল। ২০৪১ সালে বা এর আগে পরে এই দেশকে উন্নত দেশ বলতে হলে এই সিস্টেম দূর করতেই হবে।